, রাত এখন ৯ টা ২৮,
সারাদিনের ক্লান্তি ও টিউশনের চাপ নিয়ে বাসায় চলে এলো তামান্না, সারাদিনের ক্লান্তি ও খিদার কারনে কোনো কথা না বলেই ডাইনিং টেবিলে বসে পড়লো চত-জলদি , অর্সয্য খিদার জালায় তারা-তারি বলল,-" আম্মু .........., আম্মু আমার না খুব খিদে পেয়েছে, আমাকে জলদি কিছু খেতে দাও না......"-
তামান্নার কন্ঠ সুনে উপরে পড়তে থাকা তিশা নিজের রুম থেকে ছুটে নিচে চলে এসে ঝাপটে ধরে তার প্রান-প্রিয় বোন তামান্নাকে। তিশার এই আক্রমন তামান্নার প্রতিদিনের ক্লান্তি দূর করতে যথেষ্ট।😇😇
-"আপু তুমি এসেছো,you know i miss you........।
তামান্না মুচকি হাসি দিয়ে বলল,-"জানি তো আমার তিশূ পাখি টা আমাকে অনেক miss করছে , তাই তো আমি তারাতারি এসে পরেছি।
তিশা রান্না ঘরে থাকা রোকসানা বেগম এর উদ্যের্শে বলল,-"আম্মু আমাকে ও খেতে দাও আমিও আপুর সাথে খাব।"-
তামান্না ও তিশা টেবিলে বসলো, তিশা তামান্নার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,-"জানো আপু আজ ইনায়া বলল যে কাল নাকি ওয় আমাদের বাসায় আসবে।😀😀আমাদের সাথে সারাদিন........থাকবে, খেলবে , তুমি বার্গার 🍔🍔বানাবে আর আমরা খাবো😅😅,খেয়ে ঘুরতে যাব।😁😁।"-
-"খাবি আর ঘুরতেও যাবি😑😑।"-
-"Hmmm hmm 😋😋"-
তামান্না একটা দৃর্ঘস্বশ ফেলল। কারন হয়তো কাল তামান্নার পকেট খালি হতে চলেছে ।কারন বাসায় বার্গার বানাবে তাহলে দরকারি জিনিস-পত্র কিনতে হবে ,পরে যদি বাইরে ঘুরতে যায় তাহলে ওইখানে ও ওরা কাছু না কিছু খাবে।
তামান্না নিজেকে মনে মনে আসস্থ করলো যে, -"(💭 তামান্না তিশা তোর বোন,ওর খুসিই তোর খুসি, তোর যত টাকা লাগে তোর বোনকে দিবি, নাহলে যে তিশা কষ্ট পাবে।)
তামান্না মুচকি হাসি দিয়ে বলল,-"ok ok ইনুকে আসতে দাও তারপর আমরা অনেক মজা করবো"-
রান্না ঘর থেকে রোকসানা গম্ভীর স্বরে রোকসানা বেগম বলতে বলতে আসলেন ,-" হ্যাঁ তোদের তো আর কিছু করার নাই , খালি মজা মজা আর মজা ।
"-বিরক্তির স্বুরে বলল
রোকসানা বেগম,-"😠কিরে তামান্না, তিশাতো ছোট টাই এমন করছে কিন্তু তুই তো বড় তাই বলে তুইও তিশার হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলাবি!😾😾।"-
তামান্না মুচকি হেসে বলল,-"বাদ দাও না আম্মু ..... ইনায়া কত দিন পর আমাদের বাসায় আসবে, ইকটু মজা করবে, খেলবে আর তুমি...। আম্মু এখনিতো ওরা খেলবে।"-
রোকসানা বেগম রাগে কটমট করে বলেন,-" নে, খা আর আমার গুষ্টি সাধ্য উদ্ধার কর😠😡।"-
তামান্নার সাথে জোড় গলায় কথা বলেলও তিশার সাথে কিছুটা নমনীয় হয়ে এলো রোকসানা বেগম,-" তিশা নেও খাও।"-
~~রোকসানা বেগম তাদের দুজনকেই খাবারের প্লেট হাতে দিয়ে চলে গেলেন তামান্না ও তিশা দুজনেই খেতে লাগলো তামান্না নোটিস করলো যে তিশাকে তার পচন্দের লেগ পিস দেওয়া হলেও তামান্নাকে দুই পিস গলা ও একটি পা ছাড়া কিছুই দেওয়া হয় নি। ~
তামান্না তাচ্ছিল্লের হাসি হেসে মনে মনে ভাবলো,-"(💭তামান্না তুই আর কী আসা করছিস নিজের কাছে, সবার কাছ থেকে সুনে আসছি যে জন্মের পর যখন আম্মু আমার গায়ের রং দেখলো তখন থেকেই নাকি আম্মু আমায় পছন্দ করে না।😥😥
তামান্না খাচ্ছে ও মনে মনে ভাবছে,-"(💭বাবা তুমি ছাড়া আমায় আর কেউ ভালোবাসে না। hmm ভাইয়া যত্ন করে টাকা দিয়ে কিন্তু আমি তো টাকা পেয়ে ও টাকা পাই না। )"-
-"(💭 আমি এখানে থোকেও নেই আল্লাহ ,এখানে, এখানে থাকলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।😞😞 ভাইয়া তুমি কবে একেবারের জন্য দেশে ফিরে আসবে ? কবে সামনা-সামনি আমাকে বলবে যে 'আমার চকলেট তুই কেমন আছিস? কবে বলবে 'চকলেট আমার পিঠটা ইকটু টিপে দে ? কবে বলবে 'চকলেট আমার জামা-কাপড় গুলা কেচে দে,এক একটা জামা হবে ৫ টাকা করে ,আমি ও তুমি দাম কষাকষি করব ,আমি বলব ১০ টাকা তুমি বলবে ৫ টাকা, ২০ মিনিট দাম কষাকষি করার পড় ঠিক করব কয়েকটা জামা হবে ১০টাকার আর বাকি গুলা হবে ৫টাকার।"-
তামান্না নৃস্তবদে একটা আকুটি ভরা কন্ঠে বলল-"(💭Vaiya I miss you )"-
~~ তামান্না তার খাবার টা শেষ করে আরো কিছু ভাত নিবে তখনি রান্না ঘর থেকে রোকসানা বেগম চেচিয়ে বললেন,-"আর বেশি গিলিস না , এমনি তেই তুই কালো এর পর বেশি করে গিললে মোটা হয়ে যাবি তো নাকি😠😠"-
রোকসানা বেগম এর তেঁতো কথায় স্পষ্ট ভাবে যানান দিচ্ছিল যে এখন তামান্নার খাওয়া বারন, তামান্নার মনে হচ্ছিল এখানে না থাকলেই যেন বাচে সে।
মায়ের মুখে এমন কথা সুনে তিশা অভাগ না হয়ে পারলো না , কেন তার মা নিজের বড় মেয়ের সাথে এমন করে , কেউ কি নিজের র্গভের সন্তান এর সাথে এমন করতে পারে সর্তমায়ে রাও তো এমন করে না , আর এখানে তামান্না আপু তার নিজের মেয়ে। তিশা তার বড় বোনের দিকে আসহায় নয়ন এ তাকালো।
~~মায়ের কথা সুনে কোনো সন্তান কি পারে নিজেকে সান্ত রাখতে ? না পরে না তাই শেমবর্ণী সেই রমনী টি ও পারে নি নিজেকে সামলাতে।
তামান্নার ডাগর টানা চোখ় দিয়ে গড়িয়ে পড়লো কিছু নোনা জল, আর নিল না ভাত যা নিতে যাচ্ছিলো তাও রেখে দিল , আর যা প্লেটে ছিল তা দিয়ে দিলো এ বাড়ির পালিত বিড়াল মিনুর খাবারের বাটিতে । দুঃখ ভরাক্রান্ত মুখ নিয়ে তার প্রান প্রিয় মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,-"ঠিকাছে আম্মু আমি আর...... খাব না।"-
টেবিল থেকে উঠে পরলো তামান্না তিশার মাথায় আদোর করে বলল,-"থেয়ে নিস, আমি রুমে গেলাম ,সকাল ১২ টার আগে ডাকতে আসিস না ok "-
তিশা মলিন কন্ঠে বলল,-" ok আপু ডাকবো না।"-
তামান্না আর কথা বাড়ায় না। চলে যায় তার রুমে। রোকসানা বেগম যেন এটার ওই আসায় বসে ছিলেন। তার মুখে ফুটেছে হাসি ,তিনি তিশার কাছে এসে নরম কন্ঠে বলেন,-" মা তিশা তুমি আর কিছু নিবে 😊😊? "-
তিশা কিছুই বলল না সে কোনো রকম খেয়ে উঠে চলেই যাচ্ছিল , তখনি রোকসানা বেগম বলে উঠলেন,-"কি হলো মা....আর খাবে না ?"-
তিশা নিজের রাগ আর কন্টল করতে পারলো না, সে রেগে চেচিয়ে উঠলো,-" just stop it আম্মু😡😡। আম্মু আমি বাচ্চা না class 8 এ পরুয়া মেয়ে মেধাবী জিনিয়াস মেয়ে। 😡😡তুমি আমাকে কি ভাবছো? আপুর সাথে এক রকম, আমার সাথে আরেক রকম।"-
তিশা কিছুটা বিরক্তিকর কন্ঠে বলল,-" আপুকে তুমি কি দিয়েছো আর আমাকে তুমি কি দিয়েছো আমি কি বুঝি না।😡😠 দেখ আম্মু কাল আমার Friend আসবে আমি চাই তার সামনে অন্তত আমাদের দুজনকে same treat কইরো আনুরধ রইলো তোমার কাছে 🙏🙏
"-
তিশা হন্ত-দন্ত হয়ে ছুট লাগায় উপরে, উদ্যেস আপুর রুম, দরজার সামনে এসে ধাক্কা দিবে , কি যেন মনে করে আর ধাক্কা দিলো না। চলে গেলো তিশা তার রুমে, তিশার রুম ও তামান্নার রুম পাসাপাসি থাকায় তিশা সুনতে পায় তামান্নার রুম থেকে ভেসে আসছে আদ্ভুত, ভয়ঙ্কর, গা সিওরে উঠার মত কিছু অস্বরীরির শব্দ,কারো চিৎকার-আত্তনাত ,কারো গোংগানোর আওয়াজ।
তিশা মনখুন্ন হয়ে বিরবিরায়,-"তুমি আবার কোনো horror movie নিয়ে বসেছো, 😦😧 তোমার এই কষ্ট যে আমি নিতে পারছি না।"-
~~ এদিকে ~~
তামান্না ভুতের মুভি দেখছে, তার দুই হাত তার মুখে কান্নার আওয়াজ আটকানোর আপরান চেষ্টা , চোখ দিয়ে অর্নগল নোনা জল গড়িয়ে পরছে থুতনিতে 😭😭।............................................................... .......।
তিশা তামান্না ও তার রুমের সাথে এটাচ করা দেয়ালে হাত ও মাথা থেকিয়ে মনে মনে বলল,-"(💭 আপু horror movie তখনি দেখে যখন আপুর প্রচুর পরিমানে কান্না করতে ইচ্ছে হয়, কান্নার আওয়াজ যাতে কারো কানে না যায় তাই তুমি ভলিউম ও বারিয়ে দাও , কি ভবেছো আমাকে আমি কিছু জানি না ,😤 আমি সব জানি , তুমি আমাকে কিছু না জানালে ও আমি সব জানি....।)"-
<(TBC)\>
***Download NovelToon to enjoy a better reading experience!***
Comments