শালুক ফুলের লাজ নাই

শালুক ফুলের লাজ নাই

পর্ব_____১

আদনান গাড়ি থেকে নেমে হাত বাড়িয়ে জিন্স, টপস পরা এক মেয়েকে বের করে আনলো। চার বছর ধরে দেখা শালুকের দুই চোখ ভর্তি স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে আর এক মুহূর্ত ও সময় লাগলো না সেই মুহুর্তে। আদনান ভাই!শালুকের আদনান ভাইয়ের পাশে এই কে?এরকম হবার তো কথা ছিলো না।

অথচ আদনান ভাই আসবে বলে শালুক আজ লাল শাড়ি পরেছে।

আদনান ভাই তো তাকে বলেছিলো, শাড়িতেে শালুককে একেবারে বউ লাগে, তিনিি যেদিন দেশে আসবেন শালুক যেনো একটা লাল শাড়ি পরে সেদিন।

আদনান সবার সাথে বিদেশিনীর পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে,শালুকের সামনে এসে বললো, “মিট মাই লাভলি লিটল সিস্টার।শালুক,এই তোর ভাবী আশা।যদিও ওর নাম হার্দিকা তবে আমি ওকে ভালোবেসে আশা বলি।ওর বিদেশি নাম তো সবাই ঠিক করে বলতে পারবে না।হার্দিকা নামের অর্থ জানিস?অর্থ হচ্ছে প্রেমে ভরা একটি হৃদয়।

আর তুই তো আরো আগে ওর নাম ভুল উচ্চারণ করবি, এমনিতেইই সারাবছর অংক আর ইংরেজিতে ডাব্বা মারিস।”

একদমে কথাগুলো বললো আদনান।

আদনানের কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো। লজ্জায়, অপমানেে শালুকের দুই কান লাল হয়ে গেলো। শালুক তাকিয়ে দেখে তার নিজের মা বাবা ভাই বোন ও হাসছে সবার সাথে তাল মিলিয়ে।

এক মুহুর্ত ও দাঁড়ালো না শালুক সেখানে আর।এক ছুটে ছাদের ছোট্ট খুপরি ঘরে গিয়ে লুকালো।ভেতর থেকে কে যেনো বিদ্রোহ শুরু করেছে।বারবার বলছে,”আদনান তোকে ঠকিয়েছে শালুক।তুই ঠকেছিস।”

শালুকদের বিশাল বাড়িটি সাড়ে তিনতলা।এক তলায় ১৫ টা করে রুম। দুই তলার ছাদের অর্ধেক জুড়ে আছে বিভিন্ন ফল, ফুলের গাছ, দোলনা,বসার জন্য বেঞ্চি।তার একপাশে দুইটা রুম ও আছে।আর অন্যদিকে আছে ছোট একটা খুপরি। খুপরি আর দুইটা রুমের মাঝখানে বিশাল খালি জায়গা।খুপরিটা শালুকের একান্ত ব্যক্তিগত। খুপরি ঘরের নীল দরজায় কালো মার্কার পেন দিয়ে বড় বড় অক্ষরে লিখা,”শালুকের রাজ্যে আপনাকে স্বাগতম।”

ভেতরে ঢুকে শালুক শাড়িটি খুলে ফেললো। সেলোয়ার-কামিজ পরে একটা কাঁ/চি নিয়ে শাড়িটি অসংখ্য টুকরো করে ফেললো কে/টে।ক্লাস টেনে পড়ুয়া শালুকের কাছে মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে পৃথিবীতে তারচেয়ে বেশী অসহায় আর অন্য কেউ নেই।

একপাল বাচ্চার মধ্যে বড় হওয়া শালুক খুব ছোট বেলায় টের পেলো আদনান ভাই নামক মানুষটাকে তার ভীষণ ভালো লাগে।আদনান ভাই শালুকের নাম ধরে ডাকলে শালুকের ভীষণ লজ্জা লাগতো। এই ভালো লাগা কি শালুক জন্ম দিয়েছে?

মোটেও না,আদনান ভাই যেদিন থেকে ওকে হেসে হেসে বলতো,”এই ফেলটুস শালুককে আমি ছাড়া অন্য কেউ বিয়ে করবে না।”সেদিন থেকেই শালুক লজ্জা পেতো।সেই লজ্জা ধীরে ধীরে ভালোলাগা থেকে ভালোবাসায় রূপ নিলো।

সবাই তাকে আদনানের বউ বলে খেপাতো।সেই ছোট বয়সেই শালুক ধরে নিয়েছিলো আদনান ভাই তার একান্ত ব্যক্তিগত মানুষ।

সেই ধারণা আরো পোক্ত হলো আদনান ভাই বিদেশ যাবার পর। শালুক যখন ক্লাস এইটে উঠলো আদনান ভাই তো সেদিন তাকে বলেছিলো,”জেএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে হবে শালুক,আমার বাচ্চারা নয়তো তোকে ফেলটুস মা বলে খেপাবে।”

সেদিন আদনান ভাইয়ের কথা শুনে শালুক কল কেটে দিয়েছে। এই লোকটা এতো লজ্জা দিয়ে কথা বলতে পারে!

সেই মানুষের পাশে আজ অন্য মেয়ে দাঁড়িয়ে।হার্দিকা না ফার্দিকা নামের একটা মেয়েকে নিয়ে এলো আদনান ভাই?

শালুকের কেমন দম বন্ধ লাগছে,অনুভূতিতে আজ সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে।কিশোরী মনের প্রলয়ঙ্কারী ভালোবাসা আদনান বুঝলো না।

বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে শালুক অঝোরে কাদলো।শালুকের সেই কান্নার একমাত্র সাক্ষী ছিলো নীল আকাশ।

এই নীল আকাশ সব কিছুর সাক্ষী, সেদিনও এই আকাশ সাক্ষী ছিলো যেদিন আদনান ভাই তাকে বলেছিলো,”আমার শালুকটা আজ কতো বড় হয়েছে কে জানে!চুমু খাওয়ার মতো বড় হয়েছে কি?”

বৈশাখ মাস শুরু হয়েছে,হঠাৎ করেই নীল আকাশ কালো হয়ে গেলো। শালুকের অশান্ত মনের মতো আকাশটাও মুহুর্তে আশান্ত হয়ে গেলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো।

শালুক বৃষ্টিতে ভিজতে পারে না,বৃষ্টির পানিতে ওর এলার্জি আছে।

জানালার কাঁচের এপাশে দাঁড়িয়ে শালুক চোখের জল বিসর্জন দিচ্ছে আর তার ব্যথায় ব্যথিত হয়ে আকাশ ও সমানতালে বর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে।

কিছুক্ষণ পরেই শালুক দেখতে পেলো আদনান ভাই মেয়েটার হাত ধরে ছাদে চলে এসেছে। দুজন মিলে হাত ধরাধরি করে বৃষ্টিতে ভিজছে।

শালুকের বুকের ভেতর আগুন জ্বলে উঠলো। হার্দিকা না ফার্দিকা মেয়েটার রিবন্ডিং করা সোজা তারের মতো চুলগুলো লাফালাফি করার কারণে মুখে এসে পেঁচিয়ে গেছে। জানালার ওপাশ থেকে শালুক দেখলো আদনান ভাই পরম যতনে মেয়েটার চুল সরিয়ে দিচ্ছে মুখ থেকে।

খিলখিল করে হেসে মেয়েটা তার মাথা নাড়াচ্ছে,তার কাঁধ সমান চুল আদনানের মুখে গিয়ে লাগছে।মুগ্ধ হয়ে আদনান তা দেখছে।মেয়েটা টুপ করে আদনানের গালে একটা চুমু খেলো।

শালুকের কি প্রচন্ড রাগ হলো,জানালার পর্দা টেনে দিয়ে কোমর সমান লম্বা চুলগুলো শালুক কাঁ/চি দিয়ে কে/টে একেবারে ঘাড় পর্যন্ত নিয়ে এলো। তারপর এক অজানা শোকে মাথার চুল খামচে ধরে কাঁদতে লাগলো। আদনান ভাই অন্য কারো এটা শালুক মানতে পারছে না কিছুতে।এই ধ্রুব সত্যিটা কেনো শালুকের সহ্য হচ্ছে না, শালুক জানে না।

বৃষ্টি থামলো দুইটা বাজার একটু আগে।শালুক তখনো ফুঁপিয়ে কাঁদছে।এতো কষ্ট হচ্ছে কেনো তার?

নিজের কান্না কিছুতেই শালুক সামলাতে পারছে না।মতির মা এসে শালুকের খুপরির দরজায় দুমদাম কিল মারতে লাগলো। তারপর চিৎকার করে ডেকে বললো, “সবাই খাইতে বসছে,বড় চাচায় আপনেরে ডাকে। তাত্তাড়ি আইতে কইছে,নয়তো ছোট আম্মা কইছে ঝাড়ু নিয়া আসবো আপনের জন্য।বিদেশি ভাবীর সামনে কি একটা বেইজ্জতি হইবেন আপা।আসেন তাত্তাড়ি।”

বিদেশি ভাবী!

শালুক করুণ হাসলো শব্দ দুটা শুনে।ভাবী!

বাহ!

মাথায় ভালো করে ওড়না পেঁচিয়ে শালুক মতির মা’র সাথে নেমে এলো নিচতলায়। বিশাল ডাইনিং টেবিলে ২৫ টা চেয়ার।শালুকদের যৌথ পরিবার।বাবারা তিন ভাই,তাদের ছেলেমেয়ে, দাদা দাদী, বিধবা বড় ফুফু,তার ছেলেমেয়ে নিয়ে বিশাল বড় সংসার তাদের।

শালুক যেতেই আশা বললো, “তুমি আমার পাশে বসো শালুক।”

বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে শালুক সরে গেলো। বড় চাচার পাশের চেয়ার খালি ছিলো শালুক সেখানে গিয়ে বসলো। মেয়েটার মুখে বাংলা কথা শুনে শালুক কিছুটা আশ্চর্য হয়েছে।

টেবিলে আজ বিভিন্ন পদের খাবার সাজানো। সব কিছু আদনান আসবে উপলক্ষে করা।শালুকের একবার ইচ্ছে হলো, টেবিলে থাকা সব খাবার ছুঁড়ে ফেলে দিতে।

সাহসের অভাবে শালুক পারলো না।

তবে অভিমান করে একটা কাজ করলো,নিজের অতি প্রিয় খাবারগুলো ও খেলো না।ডাল আর করলা ভাজি দিয়ে মেখে মেখে ভাত খেতে লাগলো। এক লোকমা ভাত খায় আর একগ্লাস পানি খায়।শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো প্লেটে অর্ধেক ভাত রয়ে গেছে কিন্তু শালুকের পেটে আর জায়গা নেই।

শালুকের মা হাসনা সবাইকে খাবার সার্ভ করছেন,হঠাৎ করে তার নজর গেলো মেয়ের দিকে।

করলা দেখলেই যেই মেয়ে নাক সিটকায় সে কিনা করলা দিয়ে ভাত খাচ্ছে, অথচ কলিজা ভুনা,চিংড়ি ভাজা,ইলিশ মাছের ডিমের পাতুরি এসব তার সামনে রয়েছে।

হাসনা মেয়ের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললেন,”কি ব্যাপার শালুক,এসব কি?কি দিয়ে ভাত খাচ্ছিস?”

শালুক মাথা নিচু করে বললো, “খেতে ইচ্ছে করছে না মা।করলা তো কখনো খাই না,তাই আজ একটু চেখে দেখলাম।”

হাসনা তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে মেয়ের দিকে তাকালো। শালুক কিছু বলার আগে আদনান বললো, “ইলিশ মাছের ডিমের পাতুরির বাটিটা এদিকে দাও তো চাচী।আশার আবার মাছের ডিম ভীষণ ফেভারিট। ”

হাসনা মেয়ের পাশ থেকে সরে আশার কাছে এলেন।শালুক ততক্ষণে উঠে চলে গেলো।

নিজের রুমে গিয়ে বসে রইলো ঘূর্ণয়মান ফ্যানের দিকে তাকিয়ে।

খাওয়ার পর শাপলা এলো শালুকের রুমে,শালুকের বড় বোন শাপলা।বিছানার উপর পা তুলে বসে বললো, “কি হয়েছে শালুক?এরকম মনমরা হয়ে বসে আছিস কেনো? ”

শালুক চোখের জল আড়াল করে বললো, “ভালো লাগছে না আপা।”

শাপলা মুচকি হেসে বললো, “কষ্ট হচ্ছে তাই না শালুক?আশাকে দেখে কষ্ট পাচ্ছিস?শোন শালুক,আদনান ভাই মানুষটাই এরকম।সবার মনকে ক্ষত-বিক্ষত করে দেওয়ায় ওস্তাদ। তুই জানিস না শালুক,মেয়েদের মন ভাঙ্গায় আদনান ভাইয়ের জুড়ি মেলা ভার।বড় ফুফুর মেয়ে নয়না আপা,আদনান ভাইকে কি ভীষণ ভালোবাসতো।আদনান ভাই ও তাতে সায় দিতো।সে হচ্ছে ধরি মাছ,না ছুঁই পানি টাইপের লোক।ওনার কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দে শালুক।”

শালুক দাঁত দিয়ে নখ কামড়াতে লাগলো। শাপলা একটু সময় থেমে বললো, “আশা কে জানিস শালুক?আদনান ভাইয়ের খালাতো বোন।বড় চাচী সবসময় দেখিস না গল্প করে ওনার এক বোন আমেরিকায় থাকে এটা নিয়ে।আশা ওনার সেই বোনের মেয়ে।আশাকে বিয়ে করলে আদনান ভাইয়ের লাইফ সেটেল হয়ে যাবে।তাছাড়া আশা তার বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে।বুঝিস-ই তো,চাচা চাচী কেনো এতো আদর যত্ন করছে।রাজত্ব, রাজকন্যা দুটোই পাবে আদনান ভাই।সেখানে তুই কি শালুক?তোর কোনো অস্তিত্ব আছে?”

শালুকের দুই চোখ আবারও অশ্রুসজল হয়ে গেলো। শাপলা বোনকে টেনে নিলো।শব্দ করে না কান্না করলেও শালুক টের পেলো আপাও কাঁদছে তার সাথে।

বিকেলে চায়ের আসরে সবাইকে ডাকা হলো। আদনান সবার জন্য কি উপহার এনেছে তা দিবে সবাইকে।

অনিচ্ছাসত্ত্বেও শালুককে যেতে হলো, নয়তো মায়ের হাতের মার সব পিঠের উপর দিয়ে যাবে।

বাবা,চাচাদের জন্য আদনান ব্রান্ডের ঘড়ি আনলো।মা,চাচী,ফুফুদের জন্য সেইম ডিজাইনের শাড়ি। ছেলেদের জন্য বিভিন্ন রঙের টি-শার্ট। মেয়েদের জন্য মেকাপ, কসমেটিকস আইটেম।

দাদার জন্য আনলো কয়েকটা ব্যথানাশক বাম,শীতের চাদর।দাদীর জন্য চাদর,রুপোর কাজ করা একটা পানের বাটি।

মতির মায়ের জন্য ও শাড়ি আনলো।

সবার শেষে একটা সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর বের করে শালুককে দিয়ে বললো, “এটা তোর জন্য।অংকে যাতে ফেইল না করিস তার জন্য এই ক্যালকুলেটর। একেবারে অরজিনাল।দাম কতো জানিস এর?”

বারবার ফেইল করার কথা তোলায় রাগ করে শালুক ক্যালকুলেটর আদনানের কোলের উপর ছুড়ে মেরে উপরে চলে এলো।

সিড়ি দিয়ে উঠার সময় শুনতে পেলো আদনান হেসে হেসে বলছে,”ফেলটুস আবার কেমন রাগ দেখায়,এই রাগ ফেলটু মেয়েদের মানায় না।”

শালুকের এতো লজ্জা লাগলো এসব শুনে।কিছু বলতে পারলো না।

মনে মনে শপথ নিলো সে ও ভালো করে পড়ালেখা করে সবাইকে দেখিয়ে দিবে।

আদনান আসার খবর পেয়ে নয়না রাতেই শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে এলো। আদনান তখন আশার হাত ধরে বাড়ির বাহিরে বাগানে হাটছে।এক বছরের মেয়ে নিধিকে কোলে নিয়ে নয়না আদনানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। তারপর হেসে বললো, “কেমন আছো আদনান ভাই? ”

নয়নাকে দেখে আদনান ভুত দেখার মতো চমকে গেলো। নয়নাকে এই মুহুর্তে আদনান এক্সপেক্ট করে নি।নয়নার চ্যাপ্টার আমেরিকায় পা দেয়ার সাথে সাথে আদনান ক্লোজ করে দিয়েছে।

শুকনো হেসে আদনান বললো, “ভালো আছি নয়না,তুই কেমন আছিস?এই কে তোর মেয়ে?খুব কিউট তো!”

নয়না বাঁকা হেসে বললো, “কিউট তো হবেই,আমি তো ফর্সা,মেয়ের বাবা ও ফর্সা।এজন্য আমার নিধিও এতো কিউট।”

নিধির নাম শুনে আদনানের বুক কেঁপে উঠলো। নয়নার সাথে প্রেম থাকাকালীন আদনান বলেছিলো,তাদের মেয়ে হলে নাম রাখবে নিধি,আর ছেলে হলে নাম রাখবে নিদ্র।

নয়না সেটা মনে রেখেছে দেখে আদনান লজ্জিত হলো।আশাকে সেটা বুঝতে না দিয়ে সহজ গলায় বললো, “ও আমার ফুফাতো বোন নয়না।”

আশা হাত বাড়িয়ে হ্যান্ডশেক করলো নয়নার সাথে। নয়নার বুকে এক অচেনা ব্যথা শুরু হলো। এই ব্যথা সে গত তিন বছর ধরে বুকে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে।

আদনান আশার হাত ধরে বললো, “চলো বাসায় যাই।তোমার ক্ষিধে পেয়েছে নিশ্চয়। নাশতা করবে চলো।”

নয়না মেয়েকে কোলে নিয়ে আদনানের গমন পথের দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর বিড়বিড় করে বললো, “প্রতারক! ”

চলবে…….

Episodes

Download

Like this story? Download the app to keep your reading history.
Download

Bonus

New users downloading the APP can read 10 episodes for free

Receive
NovelToon
Step Into A Different WORLD!
Download NovelToon APP on App Store and Google Play