Unhealthy Obsession [Part.3]
■...At Kritiķ's Duplex...■
বাইরে এলোপাথারি ঠান্ডা হাওয়া বইছে। শুধু ঠান্ডা বললে ভুল হবে, মারাত্মক ঠান্ডা। আকাশটাও মেঘাচ্ছন্ন যখন তখন বৃষ্টি চলে আসতে পারে, এতো ঠান্ডার অভ্যাস নেই Arú এর তারউপর ওর পরনে কোনো শীতের কাপড়ও নেই, এককথায়া জান যায়যায় অবস্থা। Arú একটু সময় নিজের কান্নাকাটি থামালো, তারপর দুহাত দিয়ে সজোরে দরজা ধাক্কাতে লাগলো। Kritiķ বয়সে Arú এর চেয়ে অনেক বড়, তার উপর সম্পর্কটা এতোটাও সহজ নয় ওদের, তাই কখনোই Kritiķ কে কিছু বলে ডাকেনি Arú. কিন্তু এই মূহুর্তে একটু দ্বিধা নিয়েই ডাকতে শুরু করলো ও।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
ভাইয়া, Kritiķ ভাইয়া, দরজা খুলুন না, আমি ঠান্ডায় জমে যাচ্ছি তো। ভাইয়া।
ওপাশ থেকে কোনরূপ প্রতিক্রিয়া এলোনা। এভাবে ঠিক কতক্ষণ ডেকেছে মনে নেই Arú এর৷ ডাকতে ডাকতে একপর্যায়ে দরজার সামনেই ক্লান্ত হয়ে বসে পরে ঠান্ডায় নীল হয়ে যাওয়া অসহায় Arú.
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
রিমঝিম বৃষ্টি আর বাজ পড়ার ভয়ানক শব্দ কানে আসতেই ঘুম ছুটে গেলো Kritiķ এর। হাত দিয়ে নিজের চুল গুলো back-brush করতে করতে উঠে বসলো ও, ঘরিতে তখন বিকেল চারটা। তখন Arú কে বাইরে রেখে এসে couch এ শুয়েই কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিল টের পায়নি Kritiķ.
'Arú' কথাটা মাথায় আসতেই নিজের চুল নিজেই খাঁমচে ধরলো Kritiķ.
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Oh no, মাথা থেকেই বেরিয়ে গিয়েছিল, মেয়েটা ঠিক আছেতো?
এক মূহুর্তও অপেক্ষা না করে ছুটে গিয়ে দরজা খুলে দিলো Kritiķ. দরজার সামনেই দু হাটুতে মুখ গুঁজে বসে আছে Arú. চেতনা আছে কি নেই বোঝা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ গতিতে থরথর করে কাঁপছে ওর ছোট্ট শরীরটা। সেই সাথে জোর তালে নিঃশ্বাস ফেলছে ।দেখে মনে হচ্ছে শ্বাস কষ্ট হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডায় ফ্যাকাশে নীল বর্ন ধারন করেছে পুরো শরীর। Arú. এর এ অবস্থা দেখে আড়ালে দীর্ঘঃশ্বাস ত্যাগ করলো Kritiķ, তারপর বাচ্চাদের মতো করেই নেতিয়ে পরা Arú কে দু-হাতে তুলে নিলো নিজের কোলে। ওর শরীর স্পর্শ করতেই চমকে ওঠে Kritiķ, বরফের মতোই ঠান্ডা হয়ে আছে শরীর, আরেকটু দেরী করে দরজা খুললে কি হতো কে জানে?
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
একটানা 5 দিন তীব্র জ্বরের দাপদাহ আর সর্দি কাশির মতো বিদঘুটে অসুস্থতায় ভুগে তবেই সেদিন সারাবেলা বাইরে থাকার পাঠ চোকালো Arú. এখন জ্বর নেই মোটেই, গত কয়েকদিনের থেকে আজ শরীরটাও বেশ হালকা লাগছে, তবে খুসখুসে কাশিটা যেন পিছুই ছাড়ছে না, দিনের বেলা যেমন তেমন রয়ে সয়ে হয়। কিন্তু রাত হলে যেন, কাশির চৌদ্দ গোষ্ঠী এসে ওর ঘুম হারাম করে দেয়।
আজ মনে হচ্ছে একফালি রোদ উঠেছে পুর্বাকাশে, Arú উঠে গিয়ে জানালার পর্দা সমেত কাঁচ সরিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে বরফ শীতল ঠান্ডা হাওয়া নাক চিড়ে ভেতরে প্রবেশ করলো ওর। রোদের তাপ যতটা মনে হচ্ছিলো ততটাও গাড়ো না। মুখ ভার করে আবারও জানালার কাঁচ টেনে দিলো Arú. মনে মনে ভাবলো, এই ঠান্ডা বাতাস লেগে যদি আবারও জ্বরটা ফিরে আসে তাহলে আপা নির্ঘাত মেরে আলুরদম বানিয়ে দেবে।
তবে পর্দাটা আর টানলো না। Room এর কোন থেকে একটা stool টেনে নিয়ে গালে হাত দিয়ে বসে পরলো জানালার মুখোমুখি। প্রকৃতির আবহমান উত্থান পতন দেখতে দেখতে যখন ভাবলেশহীন হয়ে পরে অষ্টাদশীর উদাসীন মন। তখনই room এর বাইরে হাতের আঙুল দিয়ে দরজায় টকটক আওয়াজ তুলে কড়া নারে, অষ্টাদশীর মনে Greek God খ্যাতি প্রাপ্ত সুদর্শন যুবক।
Arú পেছনে ঘুরলো তৎক্ষনাৎ, দেখলো, পুরো formal dress up এ স্ব পকেটে হাত গুঁজে দাড়িয়ে আছে Kritiķ. চুল গুলো আজ এলোমেলো নয়, বরং hair gel দিয়ে পরিপাটি করা। সফেদ shirt এর উপর navy blue coat আর grey রঙের wrist watch এ তাকে অসম্ভব মানিয়েছে। অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়, প্রথম দুটোদিন বাড়িতে সারাক্ষন game খেলে কাটালেও, গত 5 দিন ধরেই প্রতিদিন ready হয়ে কোথাও যায় Kritiķ. Arú জানেনা Kritiķ কোথায় যায়, আর জানতেও চায়না। কারন Arú এর চোখে Kritiķ একজন নির্দয় মানব। কতটা অমানুষ হলে, একজনকে এমন প্রতিকূল আবহাওয়ায় ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘুমিয়ে যেতে পারে মানুষ? ভেবে পায়না Arú, আর না Kritiķ এর কাছে এর কোন জবাব আছে। এই লোক বেপরোয়া স্বভাবের জানতো Arú, তাই বলে এতোটা? তাও বিনা কারনে। এখনো সেসব কথা ভাবলে মাথাটা জলন্ত lava এর মতো টগবগ করে ওঠে Arú এর ।
দ্বিতীয় বারের মতো Kritiķ এর দরজায় টোকা দেওয়ার আওয়াজ পেয়ে সম্মোহন ফিরে পেলো Arú. তবে কোন কথা না বলে শুধু জিজ্ঞাসু দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো Kritiķ এর দিকে। জবাবে, নিজ pocket এ হাত গুঁজে রেখে একটানা কয়েক মিনিট নিস্প্রভ তাকিয়ে রইলো ক্রীতিকও। Kritiķ এর চোখ নিস্প্রান তবে তাকালে মনে হয় কথাদের রাজ্য, এ চোখে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যায়না, Arú ও পারলো না, চোখ নামিয়ে সংশয় বোধ করলো, তারপর বাধ্য হয়ে জিজ্ঞেস করেই ফেললো,
সশব্দে কথাটা বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে গেলো Kritiķ. অজ্ঞাত Arú কিছু না বুঝে, সেদিকেই তাকিয়ে বিরবিরিয়ে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
এই লোকটা এমন কেন? ভারী অদ্ভুত।
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সন্ধ্যা সাতটা, ক্রীতিক মাত্রই বাড়িতে এসেছে, বেশভুসা দেখে মনে হচ্ছে bike riding এ গিয়েছিল সে। Password দিয়ে দরজা খুলে hallroom এর মধ্যেখানে পা রাখতেই দুপা নিজ গতিতে থমকে গেলো ওর। ভেতরে ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পরলো অজানা লাবডুড। সেখানেই কিছুক্ষণ একইভাবে দাড়িয়ে থেকে ধীর পায়ে এগিয়ে এলো couch এর দিকে।
ঘাড়টা সামান্য কাত করে মুখে একটা বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে রেখে দেখতে লাগলো ঘুমন্ত মেয়েটাকে। এই মেয়েটা ওর চেনা খুব চেনা। যেখানে মেয়েদের প্রতি তীব্র অনীহা ওর, সেখানে এই হাটুর বয়সী মেয়েটার প্রতি অদম্য আসক্তি। অথচ এই অনুভূতি গুলোকে কত বছর ধরে অস্বীকার করে যাচ্ছে ও।
খুবই সন্নিকটে একজনার উপস্থিতি স্পষ্ট অথচ তখনও hallroom এর নরম গদিতে হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুমাচ্ছে Arú. গভীর ঘুমে তলিয়ে থাকায় জামা কাপড়েরও হদিস নেই। প্লাজো t-shirt দুটোই যায়গা থেকে সরে গিয়ে শরীরের অর্ধেকাংশ উন্মুক্ত। Hallroom এ জ্বালিয়ে রাখা বিস্তর ফকফকে সাদা আলোয় সে সব কিছুই Kritiķ এর চোখে দৃশ্যমান। ও না চাইতেও একঝলক পা থেকে মাথা অবধি পরখ করলো Arú কে। হুট করেই কেমন ঘোর লেগে এলো দুচোখে। নেশাগ্রস্তদের মতোই চোখ দুটো ঝাপসা লাগছে ওর। গলাটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আসছে।বারবার জিভ দিয়ে শুকনো অধর ভিজিয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে শুয়ে থাকা Arú এর লতানো নারীদেহের ভাঁজ গুলো বড্ড আকর্ষনীয় লাগছে Kritiķ এর চোখে।
বয়সের তারতম্য, সম্পর্কের জটিলতা সব কিছু কয়েক মূহর্তের জন্য ভুলতে বসেছে the great personality খ্যাত Jayán Kritiķ চৌধুরী। মেয়ে মানুষে নাকি তার allergy, versity এর teacher থেকে student সবাই তো এটাই জানে।
কিন্তু এখন এই মূহুর্তে এমন কেন হচ্ছে? আট বছর আগের তৈরী হওয়া প্রনয়াসক্তি কেনই বা হুট করে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। তাহলে কি Kritiķ Arú কে নয় বরং নিজ অনুভূতি কে ঘৃণা করে? সৎ মায়ের মেয়ের প্রতি এতোটা দূর্বলতা কোন সমাজই মেনে নেবে না, বাঙালি সমাজ তো একদমই নয়, তাইতো নিজে বাঙালী হয়েও বাঙালিদের প্রতি এতো রাগ ওর। ভালোবাসায় আবার সমাজ কিসের? ধর্মে যার প্রাধান্য আছে সমাজে তার স্বীকৃত নেই কেন? ভেবে পায়না Kritiķ. এই মূহুর্তে ভাবতেও চায়না কোনো কিছু। ওর চোখে পৃথিবী এখানেই থমকে গিয়েছে।
পায়ে পায়ে এগিয়ে গিয়ে Arú এর শিওরে ধপ করে বসে পরে Kritiķ, floor এ উরোঝুরো হয়ে পরে থাকা লম্বা চুল গুলোর দিকে একপলক গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে, ওর কানের কাছে এসে হিসহিসিয়ে Kritiķ বলে,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আবার কেন ফিরে এলি এই আধ পোড়া জীবনে? বাকিটা পুড়িয়ে দিতে?
তারপর একটা কপট হাসি খেলে গেলো Kritiķ er ঠোঁটের কোনে, মুখটা আরো একটু সামনে বাড়িয়ে, একই সুরে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
এবার যদি সত্যিই তোর আসক্তি থেকে নিজেকে সামলাতে না পারি, তাহলে বিশ্বাস কর তুইও পুড়বি। আমার দহনে পোড়াবো আমি তোকে। এখন তো ছোট নেই, তাহলে তুই কেন বেঁচে যাবি? এবার আর আমি একা নই, আমরা দুজনে মিলে প্রনয়াসক্ত হবো।
Kritiķ অযাচিত ঘোরের বসে আরও কিছু বলতে যাবে তার আগেই Arú ঘুমের তালে একটু নরেচরে ওঠে। অকস্মাৎ সম্বিত ফিরে ফেলো Kritiķ. কি করছিল ও এটা? সঙ্গে সঙ্গে Arú এর দিকে তাকিয়ে কঁপাল কুঁচকে ফেললো ও। এক ঝটকায় উঠে দাড়িয়ে weardrobe থেকে একটা লম্বা চাঁদর বের করে ছুড়ে মারলো Arú এর উন্মুক্ত গায়ে। এমন ভাবে দুর থেকে ছুড়লো যেন Arú এর শরীরে কোন নোংরা লেগে আছে।
গায়ে কাথা জাতীয় কিছুর উপস্থিতি টের পেয়ে সেটাকে ভালো মতো গায়ে পেঁচিয়ে অন্যপাশ হয়ে শুয়ে পড়লো Arú. সরু যায়গা হওয়াতে পাশ ঘুরতেই কাঁচের tea table থেকে ছোট্ট bike এর show piece টা পরে যাচ্ছিলো মেঝেতে, তৎক্ষনাৎ সেটাকে catch করে নিলো Kritiķ. Show piece টাকে চোখ পাকিয়ে হিসহিসিয়ে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Don't you dare to make a sound.
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
সেই সন্ধ্যায় গতর ডুবে যাওয়া নরম sofa তেই ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয় Arú. যখন ঘুম ভাঙে তখন রাত নয়টা বাজে৷ চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ। ঘুমের রেশ কাটিয়ে আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসতেই সেদিনের মতো বিশাল monitor এর একফালি তীক্ষ্ণ আলো এসে চোখে লাগে Arú এর৷
সেই আলোতে Kritiķ এর উপস্থিতি স্পষ্ট। কানের উপর কান পট্টির ন্যায় বড় বড় headphone লাগিয়ে নির্দিধায় gaming controller টায় হাত নাড়িয়ে যাচ্ছে সে। পড়নে biker দের মতো black leather jacket, যার সামনের দিকের chain টা পুরোপুরি খুলে ঘাড় থেকে খানিকটা নামানো। যার দরুন ভেতরে পরিহিত কালো sendo-গেঞ্জি টা ও দৃশ্যমান। তার উপর শরীরচর্চা করে কৃত্রিম উপায়ে বানানো abs গুলোকে এইটুকুনি skinny sendo-গেঞ্জি আড়াল করতে পারছে না মোটেই। অন্ধকারে বসে বসে আড় চোখে এসবই দেখছিল Arú. ঠিক তখনই রুমের লাইট জলে সবকিছু আলোকিত হয়ে যায়, অকস্মাৎ তীক্ষ্ণ আলো চোখে পরায় কপাল কুঁচকে চোখ দুটো খিঁচে বন্ধ করে নিলো Arú.
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
হা করে না থেকে, মুখের লালা পরিষ্কার কর।
সামনের মনিটরে ধ্যান রেখেই বললো Kritiķ.
চোখ বড়বড় করে Kritiķ এর মুখের দিকে তাকালো Arú. আগের মতোই ভাবলেসহীন মুখশ্রী। তবে Arú আর ভাবলেসহীন হয়ে বসে থাকতে পারলো না হঠাৎ এরূপ পঁচানি খেয়ে, ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে তৎক্ষনাৎ আলগোছে চুল বাঁধতে বাঁধতে দৌড়ে উপরে চলে গেলো। তার কয়েক মূহুর্ত্ব পরে আবারও নিচে নেমে অসহায় মুখ নিয়ে Kritiķ এর সামনে এসে দাঁড়ায় Arú.
ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন ছোড়ে Kritiķ. Arú এর চোখে মুখে অসহায়ত্ব, কন্ঠে কাঁদও কাঁদও ভাব, কোন মনে কান্না আটকে রেখে ও বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আপা এখনো ফেরেনি। প্রতিদিন তো সন্ধ্যায় ফিরে আসে।
ভাবলেশহীন জবাব Kritiķ এর।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আপনার phone টা একটু দিন আপাকে call করবো।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Landline দিয়ে কর।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Number জানিনা তো।
ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে, pocket থেকে phone বের করে Arú এর হাতে দেয় Kritiķ. Arú call করলো, একবার, দুইবার, তিনবার তাও ধরলো না অনু। এতো রাত হয়ে গেছে আপা ফিরছে না, call ও ধরছে না, অযাচিত ভয়েরা যেন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরল Arú কে। অজস্র খারাপ চিন্তায় পেটের মধ্যে নাড়িভুড়ি কেমন উগরে আসতে চাইছে। কিন্তু না সেসবের বদলে উগরে আসলো কান্নারা, অনেক চেষ্টা করেও Kritiķ এর সামনে স্থীর থাকতে পারলোনা Arú. ধপ করে মেঝেতে বসে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো।
আবার সেই একই কান্নার আওয়াজ। Arú কি বোঝেনা কোন এক অজানা কারনে এই আওয়াজে ভেতরটা ছিঁড়ে যায় Kritiķ এর? গলা কাঁটা মুরগীর মতোই ছটফট করে ওঠে হৃদয়টা। ইচ্ছে করে সব কিছু ধ্বংস করে ফেলতে।ভেতরে যা হচ্ছে হোক, সেসব কে পাত্তা না দিয়ে, আপাতত Arú কে ধমক দিয়েই শুধালো Kritiķ.
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কি হয়েছে, ভ্যা ভ্যা করছিস কেন?
Arú কাঁদতে কাঁদতে জবার দেয়,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আপা call তুলছে না, এখান আসার পর থেকেই আপা কেমন যেন ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। এখন আবার call টাও ধরছে না।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Part time job করলে ব্যস্ত হবেনা তো কি হবে৷
মুখ টিপেটিপে বললো Kritiķ.
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
না, তুই কান্নাকাটি off কর। তোর কান্নার আওয়াজ বিরক্ত লাগে।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমি কাঁদলেও আপনার বিরক্ত লাগে হাসলেও বিরক্ত লাগে, করবোটা কি আমি?
Arú তাই করলো, চুপ হয়ে বসে রইলো। এমনিতেই Kritiķ এর সামনে কেঁদে ফেলেছে, এখন ভাবতেই কেমন লজ্জা করছে ওর, ও তো এতোটাও বাচ্চা স্বভাবের মেয়ে নয়, যথেষ্ট strong. Arú এর ভাবনার ছেদ ঘটে Kritiķ এর আওয়াজে৷
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমি বের হয়ে আশেপাশে খুঁজে দেখছি, তুই থাক।
Arú একটু একটু হেঁচকি তুলে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমিও যাবো। নিয়ে যাননা।
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
■.At McDonald's Cafeteria.■
McDonald cafeteria এর parking lot এ গাড়ি park করে, আশেপাশের রাস্তায় হাটছে Kritiķ আর Arú. Oversized denim এর pocket এ হাত ঠুকিয়ে গা ছাড়া ভাব নিয়েই হাঁটছে Kritiķ. দেখে মনে হচ্ছে ওর মধ্যে চিন্তার লেশমাত্র নেই। ওদিকে Arú ভেবে পাচ্ছে না হসপিটালে না নিয়ে গিয়ে ওকে এখানে কেন নিয়ে এলো পাগল লোকটা? আপা তো হসপিটালে। Arú কয়েক বার জিজ্ঞেস করেছে আগ বারিয়ে। কিন্তু Kritiķ এর সোজাসাপটা উত্তর,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আশেপাশে খোঁজ, এখানেই পেয়ে যাবি।
Arú সেই তখন থেকে এদিক ওদিক হন্নে হয়ে ছুটছে, যতদূর চোখ যায় কোথাও কোন মানুষ নেই। Cafe টাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে খানিকক্ষণ আগে অথচ অনুর দেখা নেই।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আচ্ছা তোর পেটের মাঝখানের তিলটা কি আসল? যখন ছোট ছিলি তখন তো দেখিনি।
পাহাড়ি আঁকাবাকা রাস্তায় Arú যখন অনুকে খুঁজতে খুঁজতে পাগল প্রায়, ঠিক তখনই Kritiķ জ্ঞানী ব্যাক্তিদের মতো ভাবুক হয়ে এই প্রশ্নটা করে বসে।
এই মূহুর্তে Kritiķ এর কথায় Arú ওর গোপন তিলের খবর জানায় অবাক হবে, নাকি আহাম্মকের মতো প্রশ্ন করায় গিয়ে ঠাটিয়ে থাপ্পড় মারবে ঠিক বুঝে উঠতে পারলো না। যত যাই হোক। বয়সে ওর চেয়ে দ্বিগুণ বড় Kritiķ.
তবে কিছু তো কথা শোনানোই যায়, সেই উদ্দেশ্যেই ঘুরে পেছনে এগিয়ে এলো Arú. তখনই উল্টো দিক থেকে ডাক পরলো অনুর।
Arú পেছনে দেখলো, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এদিকেই এগিয়ে আসছে আপা। তার সঙ্গে লম্বা মতো একটা ভাইয়া, অনুর হাতধরে ওকে হাঁটতে সাহায্য করছে, অনুর ছোট্ট শরীরটা লোকটার শীতের coat দিয়ে আবৃত। লোকটা কে? কি হয়? কেনইবা অনুর হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছে? সে-সব নিয়ে এই মূহুর্তে একবিন্দু পরিমান মাথা ব্যথা নেই Arú এর। ও শুধু দেখছে ওর আপা ব্যথা পেয়েছে হাটতে পারছে না ভালো করে।
একদিক দিয়ে Kritiķ আর Arú এগিয়ে আসছে, অন্যদিক দিয়ে অনু আর প্রত্যয়। প্রত্যয় আর Kritiķ এর চোখেচোখে কথা আদান-প্রদান হলো। কয়েক মূহুর্তের মধ্যে Arú ছুটে গিয়ে গলা জড়িয়ে ধরলো অনুর, উৎকন্ঠা নিয়ে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আপা, আমায় রেখে কোথায় গিয়েছিলি তুই? তোর চিন্তায় চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছিলাম আমি, এক মুহূর্তের জন্য মনে হচ্ছিল এই অচেনা দেশে আমার আপন বলতে কেউ নেই।
Arú এর কথায় Kritiķ এর মেজাজ অকস্মাৎ তেড়ে উঠলো। এইটুকু সামান্য কথায় রাগ লাগার মতো কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছে না Kritiķ, তবুও কয়েক মূহুর্তের জন্য চোখের রঙ বদলালো ওর। আবারও সেই ভয়ানক তীক্ষ্ণ চাউনি। পরক্ষনেই প্রত্যয়ের সাথে চোখাচোখি হওয়ায় আবার তা দপ করেই নিভে গেলো।
পাছে এসে জড়ো হলো ঠোঁট গলিয়ে একটা রহস্যময়ী ক্রুর হাসি। যে হাসিতে সামিল হলো সয়ং প্রত্যয় ও। ওরা যে কি মনে করে হাসলো সেটা কেবল ওরাই ভালো জানে।
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
■...At Kritiķ's Duplex...■
দেখতে দেখতে কখন যে Kritiķ এর এই ছোট্ট duplex বাড়িটায় একটা মাস কাটিয়ে দিলো টেরই পায়নি Arú. সময় যে কেনো এতো তারাতারি চলে যায় কে জানে?ডাক্তার বলেছে আজমেরী শেখের open heart surgery প্রয়োজন। তবে এতোবড় surgery এর জন্য আজমেরী শেখ প্রস্তুত নন, দীর্ঘদিন সুচিকিৎসার অভাবে তার শরীরে বিভিন্ন জটিল সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেগুলোর treatment চলাকালীন open heart surgery সম্ভব নয়। অন্যান্য শারিরীক সমস্যার উন্নতি হলে তবেই বড় surgery করানো হবে। তাই এই পুরো process টায় একবছর বা তার বেশিও সময় লেগে যেতে পারে। অনু আর Arú এর কিছুই করার নেই, মাকে সুস্থ করতে হলে ধৈর্য ধরতে হবে। কারণ দুনিয়াতে মা ছাড়া ওদের সত্যিকারে আপন বলে কেউ নেই।
এরমাঝে অনু Kritiķ কে অনুরোধ করেছে Arú কে যাতে একটা ছোটখাটো versity তে admission করিয়ে দেয়, কারণ বছরের পর বছর তো আর পড়াশোনা বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। অনু না হয় নিজের সখ আহ্লাদ বিসর্জন দিয়েছে, তাই বলে কি Arú কেও দিতে হবে? Arú ভেবেছিল Kritiķ একবাক্যে না করে দেবে। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি, উল্টে Kritiķ আগ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, Arú এর কোন choice আছে কিনা।
গত একমাসে সব মিলিয়ে বড়জোর হলে দশ দিনের মতো Arú আর Kritiķ এর দেখা হয়েছে। Kritiķ বেশির ভাগ সময়ই বাড়ির বাইরে থাকে, কখন আসে কখন যায় সেটাও জানেনা Arú. Kritiķ যখন hallroom এ বসে game খেলতো তখনই কেবল দু একসময় বেখেয়ালে দেখা হয়ে যেতো। এছাড়া Kritiķ এর দেখা খুব একটা পায়নি Arú. মোদ্দাকথা, একই বাড়িতে থাকা সত্বেও সম্পর্কের মতোই ওদের তিনজনার মাঝে ছিল বিশাল জড়তার প্রাচীর। কিন্তু এই প্রাচীর কতদিন স্থীর থাকে কে জানে? Kritiķ এর মতো বেপরোয়া আর একরোখা স্বভাবের মানুষের জন্য এই প্রাচীর ভেঙে ফেলা খুব কঠিন কিছু নয় বৈকি।
আলো আধারি আবহাওয়ার মাঝেও Arú এর মনটা আজ ভীষণ ভালো। কেনইবা ভালো থাকবে না, 'San Francisco State University' তে admission হয়েছে ওর। আগামী কাল থেকে আবারও নতুন করে পড়াশোনার অধ্যায় শুরু হবে ওর জীবনে। নাহ নিজের জীবনের উপর যতটা অভিযোগ করেছিল ততটাও খারাপ নয় জীবন টা।
সেই খুশিতেই, সকাল সকাল রান্না চড়িয়ে kitchen counter এর উপর বা দুলিয়ে বসে৷ ব্যাস তখনই বাইরের calling bell টা বাঁজখাই আওয়াজ তুলে বেজে ওঠে।
Arú লাফ দিয়ে counter থেকে নেমে তারাহুরো করে গিয়ে দরজা খুলে দেখে বাইরে কেউ নেই, তবে front yard এ যে beach টা রয়েছে তার উপর কিছু একটা রাখা।
দরজার সামনে থেকে ছাতাটা কুড়িয়ে,সেটা নিয়েই Arú bench এর কাছে এগিয়ে গেলো, গিয়ে দেখলো তাজা টকটকে লাল গোলাপের একটা বুকে। তার মাঝখানে উইশ কার্ড। ফোঁটাফোঁটা বারিধারা জমে ফুল গুলোকে আরও বেশি সতেজ দেখাচ্ছে। প্রথমে তাজা গোলাপে মুখ ডুবিয়ে প্রান ভরে শ্বাস নিলো Arú, তারপর wish card টা খুলে পড়তে শুরু করলো, যেখানে গুটিগুটি ইংরেজি অক্ষরে লেখা,
Many many happy returns of the day, JĶ sir.
...From: 'S'
ব্যাস এতোটুকুই। Wish card টা পড়ে ভ্রু কুঁচকে duplex বাড়িটার দোতলার corner এর room টায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে Arú, যেখানে এই মূহুর্তে Kritiķ ঘুমিয়ে আছে।
প্রায় দুইদিন পর কাল মাঝরাতে বাড়ি ফিরেছিলো Kritiķ. রাতে যখন Arú পানি পান করতে নিচে নেমে আসে, তখনই দেখতে পায় Kritiķ কে। অন্ধকার room এ couch এর উপর বসে phone এর flash জ্বালিয়ে নিজের পায়ে নিজেই bandage করছে সে। Bandage করা হয়ে গেলে গায়ের জামাকাপড় গুলো ওখানেই ছুড়ে ফেলে দিয়ে খোঁড়াতে খোঁড়াতে নিজের room এ চলে যায় Kritiķ.
পরে অবশ্য Arú নিজেই Kritiķ এর জামা কাপড় গুলো laundry তে দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষত কি করে হলো সেটা আর জিজ্ঞেস করার আর সাহস হয়ে ওঠেনি। দেখা গেলো জিজ্ঞেস করতে গেলে উল্টে থাপ্পড় মেরে গাল লাল করে দিলো। যেচে পরে মানসম্মান খোয়ানোর ইচ্ছে নেই Arú এর। তার উপর কথায় কথায় যে অপমান সহ্য করে সেই ঢের। মনে মনে কথাগুলো ভেবে নিয়ে বুকে সমেত ঘরে চলে গেলো Arú.
.................................................
বেলা তখন দশটা কি এগারোটা, বাইরে বৃষ্টি নেই তবে কালো মেঘে ছেয়ে আছে চারিপাশ। তখনই একেবারে তৈরি হয়ে একটা black belt এর ঘড়ি হাতে পেঁচাতে পেঁচাতে নিচে নামলো Kritiķ. দেখেই মনে হচ্ছে বাইরে যাবে। তবে যাওয়ার আগে বাঁধ সাধে Arú. তাজা গোলাপের bouquet টা সামনে বাড়িয়ে দিয়ে একগাল হেঁসে বলে,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Happy Birthday ভা..ভাইয়া।
ভাইয়া শব্দটা উচ্চারণ করতে Arú এর একটু কষ্টই হলো বৈকি। Kritiķ কোন প্রতিক্রিয়া করতে পারলো না, তার আগেই একেরপর একের গগন কাঁপানো হাঁচি দিতে শুরু করলো ও। Kritiķ একাধারে হাঁচি দিয়েই যাচ্ছে, হাঁচি দিতে দিতে ওর নাকের ডগা লাল বর্ন ধারন করেছে, হুট করেই Kritiķ এর এমন বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় Arú একটু ভরকে যায়, ব্যাস্ত ভঙ্গিতে বলে,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কি হয়েছে আপনার? ঠিক আছেন?
Kritiķ হাঁচির মাঝখানে জবাব দেয়,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Idiot ওটাকে সরা, Rose এ আমার allergy আছে।
আবার.....হাঁচ্চু।
প্রায় minute দশেক পর একটু স্বাভাবিক হয়ে Kritiķ যখন আবারও বাইরের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়, তখনই দ্বিতীয় বারের মতো পিছু ডেকে ওঠে Arú. Kritiķ বিরক্ত হয়ে দাঁতেদাঁত চেপে বলে,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
What happened, Arú? কি চাইছিস তুই?
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
না মানে কোথাও যাচ্ছেন?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Versity তে যাচ্ছি, exam আছে। আর কিছু?
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
এমা আপনিতো 30 plus এখনো পড়াশোনা শেষ করতে পারেন নি?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমার নয়, আমার student দের exam আছে। And, তুইকি ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আমাকে বয়সের খোঁটা দিলি?
Arú সচকিত হয়ে এদিক ওদিক মাথা নাড়ালো। তবে এটা বুঝতে পারলো না, এতো ধনসম্পদ প্রতিপত্তি থাকা সত্বেও কিসের অভাবে Kritiķ business ছেড়ে দিয়ে চাকরি করে।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
শুনে রাখ, যদি দিয়েও থাকিস আমার loss নেই, বরং তোরই loss, দেখবি দিন শেষে তোর কপালেও একটা বুড়ো বর জুটবে।
Arú মুখ কাচুমাচু করে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
এভাবে কেন অভিশাপ দিচ্ছেন, কি ক্ষতি করেছি আপনার?
Kritiķ একটু ব্যথাতুর হাসি হাসলো, অতঃপর বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Seriously? আমার age এর কাউকে বিয়ে করাটা তোর কাছে অভিশাপের মতো?
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
[ অবশ্যই, আমিতো নিখিল ভাইয়ের মতো ইমিডিয়েট সিনিয়র কাউকে বিয়ে করবো। ]
Arú চুপ হয়ে গিয়েছে দেখে, Kritiķ ঘড়িতে নজর দিয়ে দ্রুত হাটা দিলো। তখন আবারও দৌড়ে ওর সামনে গিয়ে দাড়ালো Arú. Arú এর বলা একটু আগের কথায় Kritiķ এর মেজাজ এমনিতেই তুঙ্গে, তার উপর এখন বারবার পথ আটকাচ্ছে মেয়েটা, কি চাইছে ও? রাগের তোপে দাঁত কটমট করতে করতে Kritiķ বলে,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কি চাই, যাবি আমার সাথে? Pocket এ করে নিয়ে যাবো? উঠবি pocket এ? আয় তাহলে।
Arú এদিক ওদিক মাথা নাড়ায়।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
মাথা গরম হয়ে আছে Arú, রাস্তা ছাড় নয়তো তোর ওই নরম গালে কষিয়ে একটা থাপ্পড় দেবো আমি। যেটা আমি দিতে চাচ্ছি না।
Arú শুকনো ঢোক গিলে, একটা packet এগিয়ে দিলো Kritiķ এর মুখের দিকে। Kritiķ ভ্রু কুঞ্চিত করে বললো,
Arú ভয়ে ভয়ে মাথা নিচু করে জবাব দেয়,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
পায়েস। আজ আপনার জন্মদিন তাই, জানেন আপা বলে আমার হাতের dessert নাকি অমৃত। সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন আপনিতো আমার ভাইয়েরই মতো, তাইনা?
Arú এর বলা শেষ কথাটা তীরের ফলার মতোই মস্তিস্কে গিয়ে আঘাত করলো Kritiķ কে। ও চুপচাপ packet টা হাতে নিলো, অতঃপর দুকদম এগিয়ে গিয়ে packet টা dustbin এ ফেলে দিয়ে চোয়াল শক্ত করে, Arú এর দিকে আগুনঝরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Shame on your FUKING sympathy.
তারপর হুরমুর করে বেরিয়ে গেলো, gate ছাড়িয়ে। Arú এখনো একই যায়গায় সটান দাঁড়িয়ে। না চাইতেও এভাবেই বারবার অপমানিত হতে হয় Kritiķ এর কাছে। কই অনুর সাথে তো এমন আচরণ করেনা, শুধু ওর সাথেই কেন? ওর উপর কিসের এতো রাগ Kritiķ এর? ভেবে পায়না Arú. তাছাড়া ওতো কোন sympathy দেখানোর জন্য dessert টা বানায়নি, বরং অনেকটা ভালোবাসা আর আন্তরিকতা থেকেই তো বানিয়েছিল। যেখানে ওর নিজেরই করুনা অপছন্দ সেখানে ও কিনা কাউকে করুনা করবে? তাও আবার Jayán Kritiķ কে? যার করুনায় বেঁচে আছে ওরা।তাহলে Kritiķ আদতে কোন করুনার কথা বোঝালো?
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
রাস্তার side এ স্থীর দাড়িয়ে থাকা চেনা পরিচিত Mercedes গাড়িটা দেখেই বেশ অবাক হলো সায়র।
সায়র
মাঝরাস্তায় Kritiķ গাড়ি থামিয়ে করছে টা কি?
তৎক্ষনাৎ নিজের গাড়ির break কষে, রাস্তা পার হয়ে, স্থীর গাড়ির জানালার glass এ আঙুল দিয়ে দু-তিনবার টোকা দিলো ও। ভেতর থেকে সায়রকে দেখতে পেয়ে জানালার কাঁচ নামিয়ে Kritiķ বলে,
এই বলে গাড়ির ভেতর এসে বসে পরে সায়র। গাড়িতে বসা মাত্রই Kritiķ এর দিকে তাকিয়ে সায়র যা দেখলো তাতে আপাতত ওর চোখ কপালে। সায়র দেখতে পায় ক্রীতিক আরাম করে বসে one time চামচ দিয়ে পায়েস খাচ্ছে। সায়র সন্দিহান হয়ে চোখ ছোট ছোট করে বললো,
সায়র
তুই এই রাস্তার মাঝখানে পায়েস কোথায় পেলি?
Kritiķ খেতে খেতে, বাম হাত উঁচিয়ে পেছনের dustbin টার দিকে দেখিয়ে দিলো। Kritiķ এর কথায় সায়র চোখ মুখ কুঁচকে ফেললো, অবিশ্বাসের সুরে বললো,
সায়র
কিহ! তুই dustbin থেকে খাবার তুলে খাচ্ছিস?
Kritiķ উপর নিচ মাথা নাড়ালো।
সায়র
ছিহ! Kritiķ ছিহ! তুই এখনো এতোটাও অসহায় হয়ে যাসনি যে ওখান থেকে খাবার তুলে খেতে হবে তোর। আমরা এখনো আছি কি করতে? By the way, আমাকে একটু দে, it looks yummy.
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Sorry bro, এটার এক চিমটি ভাগও আমি কাউকে দিতে রাজি নই, even কোনোদিন না। পুরোটা আমার।
তারপর বিরবিরিয়ে অস্পষ্ট সুরে বলে,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
ও পুরোটাই আমার, only mine.
সায়র বোঝার চেষ্টা করে বললো,
সায়র
তুই আবার dessert এর প্রতি এতোটা obsessed কবে হলি?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
[ ঠিকই বলেছিস, she is my dessert. তোর আপা ঠিকই বলে heartbeat, তোর রান্না করা dessert অমৃত। ]
এক চিলতে মৃদু হাসি খেলে গেলো Kritiķ এর dark brown ঠোঁট জুড়ে, তারপর আবারও তলিয়ে যায় গভীর ভাবনায়৷ Kritiķ এর কথার tone ধরতে পারছে না সায়র, ও কখনোই এতোটা নরম সুরে, ঠোঁটে হাসি রেখে কথা বলতে দেখেনি Kritiķ কে। Jayán Kritiķ always strong থাকতে পছন্দ করে, weak behaviour ওর দ্বারা হয়না, তাহলে হুট করে হলোটা কি? ভাবছে সায়র। একমাত্র drunk হলেই এমন আচরণ করে Kritiķ. তাই উদগ্রীব হয়ে সায়র শুধালো,
Kritiķ কুটিল হেঁসে জবাব দেয়,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
One day you'll meet someone and it'll literally take your breath away. তখন ভালো, মন্দ, ঠিক, বেঠিক, উচিত, অনুচিত কোনোটাই মস্তিস্কে আটকায় না, যা এসে হৃদয়ে আটকায় সেটা হলো কাছে পাবার প্রবনতা। At any cost, তাকে চাই-ই চাই।
You know what, আমি Jayán Kritiķ চৌধুরী মাত্র dustbin থেকে তুলে এনে খাবার খেয়েছি, It was warm and I feel so happy.
সায়র ওর কথার আগামাথা কিছুই বুঝতে পারলো না, কার কথা বলছে ও? কেনই বা বলছে? আগেতো কখনো বলেনি, even প্রেম ভালোবাসা এই সমস্ত কথা শুনলেও রেগেমেগে আগুন হয়ে যেত যে মানুষটা তার হঠাৎ হলোটা কি আজ? চকিতে প্রশ্ন ছুড়লো সায়র,
সায়র
Bro, ওই dessert এ কিছু মেশানো ছিলোনা তো?
Kritiķ জবাব দেয়না, শুধু বাঁকা হেসে গাড়ি start দিতে দিতে আনমনে বলে,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
ছিলোতো আমার heartbeat এর ছোঁয়া। And it was my personal drug.
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
■...At Kritiķ's Duplex...■
সন্ধ্যা হতে না হতেই ঝুম বৃষ্টি নেমেছে আকাশ বাতাস ছাপিয়ে। বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, মোম জ্বালিয়ে রেখেছে Arú. অনু একটু আগেই call দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে বৃষ্টিতে হসপিটালে আটকা পরেছে ও চিন্তা না করতে। Arú মাত্রই কথা শেষ করে উপরে চলে যাচ্ছিলো, তখনই গেট খুলে ভেতর ঢোকে বৃষ্টিতে ভিজে জুবুথুবু হয়ে যাওয়া Kritiķ.
মোমের আলোয় থরথর করে কাঁপতে থাকা Kritiķ কে দেখে মায়া হলো Arú এর, ও এগিয়ে গিয়ে কিছু লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করতে চাইলো, কিন্তু তখনই সকালের সেই অপমানের কথা মনে পরতে আবারও পিছু হেটে পা বাড়ালো নিজের ঘরের দিকে। তবে দুপা সিঁড়ির দিকে এগোতেই পেছন থেকে কাঠকাঠ আওয়াজ ভেসে এলো Kritiķ এর,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
দেখছিস শীতে কাঁপছি তবুও towel এগিয়ে না দিয়ে চলে যাচ্ছিস? আক্কেল কি পানির সাথে গুলে খেয়েছিস?
Arú একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড় বলে,
উপর থেকে towel নিয়ে এসে চেহারায় একটু রাগি রাগি ভাব করেই এগিয়ে যায় Kritiķ এর কাছে, Arú towel দেওয়ার জন্য হাত বাড়াতেই Kritiķ খপ করে Arú এর হাত সহ towel টা ধরে নেয়, তারপর ওর হাত দিয়েই নিজের মতো করে চুল মুছতে থাকে।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আরে আরে কি করছেন? লাগছে তো হাতে।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
ভাত তো আমার থেকে বেশিই খাস, তাহলে লাগে কেন?
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
খাওয়ার খোঁটা দিচ্ছেন?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
তুই আমার সব সম্পত্তি খেয়ে ফেললেও সেটা দেবোনা।
Arú এর কথার পিঠে Kritiķ কিছু বলতে যাবে, ঠিক তখনই দরজা ঠেলে এলিসা, অর্নব, সায়র, ক্যাথলিন সবাই একসুরে চেঁচিয়ে বলে ওঠে, Surprise... ওদিকে কারও উপস্থিতি টের পেতেই Arú কে একঝটকায় দুরে সরিয়ে দেয় Kritiķ. Arú মেঝেতে ছিটকে পরে, আর্তনাথ করে বলে ওঠে,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আহ... আমার কোমড়৷
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
Kritiķ এর duplex বাড়িটা অত্যাধুনিক হলেও পরিধিতে খুব একটা বড় নয়, নিচ তলায় hallroom আর garage ছাড়া আলাদা কোনো শোবার ঘর নেই। আর উপর তলায় একটা master bedroom যেটা Kritiķ এর নিজের।অন্যটা guest room সেখানে আপাতত Arú রা থাকে। এছাড়া একটা room রয়েছে সেটা Kritiķ এর ব্যক্তিগত gym. তবে এই পুরো বাড়িতে সব থেকে যেটা সুন্দর তা হলো দুই সাইডে দুটো টানা ছাঁদ বারান্দা, আর তার একটাতে রয়েছে mini size এর একটা swimming pool. মূলত এটা ব্যবহারের থেকে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যই বেশি তৈরি করা হয়েছে।
সন্ধ্যা রাতে মোমের লালচে আলোতে পুলের অগভীর নীল পানিটুকু ঝিলমিল করছে। তাতেই আপাতত পা ডুবিয়ে বসে আছে এলিসা, অর্নব, সায়র আর ক্যাথলিন। যদিও বাইরে হুহু ঠান্ডা, তবে সেটাই উপভোগ করছে ওরা। এলিসা, অর্নব আর সায়র হলো Kritiķ এর bestfriend, পরিবার ও বলা চলে। ওদের সবার জীবনেই কোন না কোন অপূর্নতা দিয়ে ঘেরা। চারজনই পিছুটানবিহীন ছন্নছাড়া মানুষ। সোজা পথে না হেটে আঁকাবাঁকা পথের adventurous শিহরন পেতেই বেশি পছন্দ করে ওরা। সামনে থেকে সবকিছু স্বভাবিক মনে হলেও মূলত চারজনের জীবনই একেকটা গোলকধাঁধা আর সে কারণেই হয়তো ওরা soul mate. দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ওদের। Kritiķ এখনো ভেবে পায়না ওর মতো একগুঁয়ে, বদমেজাজি, রগচটা, মাথা গরম ছেলের সাথে ওরা এতোগুলা বছর কিভাবে কাটিয়ে দিলো? তাও without any complain.
ছাঁদ বারান্দার রেলিং ঘেসে দাড়িয়ে মেঘলা আকাশের পানে একনাগাড়ে নিকোটিনের ধোঁয়া উড়াচ্ছে Kritiķ. সেদিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছে ক্যাথলিন। ক্যাথলিন হলো এলিসার cousin. বয়সে ওদের থেকে বেশ ছোটই, অনুর বয়সই হবে হয়তো। তবে কেন যেন Kritiķ এর প্রতি ওর অন্যরকম দূর্বলতা। ওর কোন bike riding competition miss করেনা ক্যাথলিন। এছাড়া bike racing fan club এর top fan badge ও ওর দখলে। আর সেখানে Kritiķ থাকে সবসময় number 1 trending এ। মোট কথা rider JĶ এর খুব বড় ভক্ত ক্যাথলিন। যদিও Kritiķ এর এসব বিষয়ে বিন্দু মাত্র ধারনা নেই। ওতো কেবল নিজের ছন্নছাড়া হৃদয়টাকে একটুখানি প্রশান্তি দেওয়ার জন্যই জীবনটাকে অযাচিত বিপদের ঠেলে দেয়। কেন যেন এই ব্যাপারটায় এক পৈচাশিক আনন্দ পায় Kritiķ. ক্যাথলিনের ভালো লাগার ব্যাপারটা এলিসা সহ বাকি দুজনও জানে, তবে বয়সের দোহাই দিয়ে কেউই খুব একটা পাত্তা দেয়না।
আজ Kritiķ এর জন্মদিন বলেই কেঁদেকেটে হাজারও অনুরোধ করে তবেই এলিসার সাথে এসেছে সে। সাথে করে Kritiķ এর জন্য জন্য gift ও এনেছে। তবে সে gift এ জীবনে Kritiķ খুলে দেখবে কিনা বলা বাহুল্য।
বৃষ্টিতে আটকে গিয়ে অনু এখনো ফেরেনি বলে সারা সন্ধ্যা Arú ও আর নিজের room থেকে বের হয়নি। তবে এখন তো বৃষ্টি কমেছে আপা ফিরলো কিনা তা দেখতে কেবলই riom এর বাইরের corridor এ পা রেখেছিল Arú. ঠিক তখনই ছাঁদ বারান্দা থেকে হাক ছেড়ে ডেকে উঠলো এলিসা,
এলিসা
এই যে শোনো আমাদের সবার জন্য hot coffee বানিয়ে নিয়ে এসোতো।
এলিসার কথায় বাদ সাধে সায়র, খানিকটা গলা নামিয়ে বলে,
সায়র
ওই! কাকে কি বলছিস, ও কি servant নাকি? ও Kritiķ এর step sister.
অবাকের চড়ম সীমানায় গিয়ে এলিসা বললো,
এলিসা
কি বলিস কিন্তু Kritiķ যে বললো, treat her like a servant?
সায়র কটমটিয়ে Kritiķ এর দিকে চাইলো, যে এখনো ভাবলেশহীন হয়ে একই ভাবে দাড়িয়ে আছে, তারপর চোখ ঘুরিয়ে এলিসাকে বলে,
সায়র
আমাকেও একই কথা বলেছে বাঁদর টা। বোন কে বোন বলে পরিচয় দেয় না, কতটা খারাপ ভাবতে পারছিস?
ব্যাপারটা আন্দাজ করতে পেরে, তখনই Arú কে নিষেধ করার জন্য corridor এ উঁকি দিলো এলিসা, কিন্তু দেখলো Arú সেখানে নেই। নিজের কথায় এই মূহুর্তে নিজেই লজ্জিত ও, তাই Kritiķ এর দিকে তাকিয়ে কটমটিয়ে বললো,
এলিসা
JĶ, Arú তোর বোন হয় আগে বলিস নি তো?
Kritiķ এর সোজাসাপটা জবাব,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
বোন হয়না তাই বলিনি, তাছাড়া ও কেন আমার বোন হতে যাবে? আমার বোন হওয়ার কি যোগ্যতা আছে ওর?
এলিসা পাল্টা প্রশ্ন করবে তার আগেই tray তে করে সবার জন্য গরম গরম coffee নিয়ে হাজির হয় Arú. Arú এর অবশ্য coffee চাওয়াতে তেমন একটা ego তে লাগেনি, coffee ই তো চেয়েছে, তাছাড়া বাড়ি বয়ে আসা সবাই তো মেহমান, এতোটুকু নিঃসংকোচে করাই যায়।
কিন্তু Arú কে একজনার মোটেই ভালো লাগেনি, আর সেটা হলো ক্যাথলিন। মানে ও এই ব্যাপারটা নিতেই পারছে না, যেখানে ও হাজার চেষ্টা করে তবেই Kritiķ কে একটু চোখের দেখা দেখতে পায় সেখানে এই brown skin মেয়েটা কিনা Kritiķ এর বাড়িতে চব্বিশ ঘন্টা থাকে। দিনরাত Kritiķ এর মুখো মুখি হয়, ওর সাথে কথা বলে, হাসাহাসি করে। ভাবতেই ক্যাথলিনের কেমন গা জ্বলে উঠলো। কোন এক অজানা কারনে হুট করেই মেয়েটার প্রতি রাগ উগরে আসছে ওর। Arú এর ঠোঁটের কোনে লেগে থাকা হালকা আন্তরিকতা মাখা হাসিটা দেখে একান্তে ফোঁসফাঁস করছিল ক্যাথলিন।
তখনই ওর দিকে coffee এর cup টা এগিয়ে দেয় Arú. কিন্তু ক্যাথলিন তো এটা নিবে না, সবার সামনে ফিরিয়েও দিতে পারবে না, তাই ইচ্ছে করেই গরম coffee টা উল্টে ফেলে দেয় ও।তবে অসাবধানতায় পুরো coffee টাই Arú এর হাতে ছিটকে পরলো।
Coffee টা ছিল ধোঁয়া ওঠা আগুন গরম। তবুও Arú চেঁচালো না, কেবল আহ... শব্দের মৃদু আতর্নাদ বেরিয়ে এলো ওর মুখ থেকে। তৎক্ষনাৎ ওর কাছে ছুটে এলো সায়র, অন্যরাও ব্যস্ত হয়ে পরেছে ও ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য শুধু Kritiķ ছাড়া, ও এখনো নিজের যায়গাতেই স্থীর দাড়িয়ে সবটা দেখছে। নিজের অজান্তেই কখন যে হাতদুটো মুষ্টিবদ্ধ করে ফেলেছে হদিস নেই তার। সায়র তারাহুরো করে Arú এর হাতটাকে টেনে উল্টে পাল্টে দেখে নিলো, হাতের অনেকটা যায়গা ধরে লালচে বর্ন ধারন করেছে। Arú চোখ মুখ এখনো খিঁচে বন্ধ করে বসে আছে, চোখ দিয়েই টুপটুপ করে ঝরে পরছে ব্যাথাতুর নোনাজল।
উদগ্রীব হয়ে প্রশ্ন করলো সায়র।
Arú জবাব দিলোনা, বসে রইলো একই ভাবে। ওর হাতে জ্বালা করছে ভেবে pool এর শীতল পানিতে হাতটা ডুবিয়ে দিলো সায়র। কয়েক মূহুর্ত পরেই পিটপিট করে চোখ খুললো Arú, ঠান্ডা পেয়ে সত্যিই বেশ আরাম লাগছে এখন। ওদিকে এলিসা ক্যাথলিনের দিকে চেয়ে চোখ পাঁকাতেই। ক্যাথলিন এসে ক্ষমা চাইলো অরুর নিকট।
অরুর যে রাগ নেই তেমন না, ও দেখেছে ক্যাথলিন ইচ্ছা করে coffee টা ফেলছে, মেয়েটার কর্মকান্ডে রাগও লাগছে খুব, তবুও সবার সামনে মনুষ্যত্ব আর চক্ষু লজ্জার খাতিরে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
It's okay. I'm fine.
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
অনেক তো হয়েছে, Arú. ভেতরে যা, আমি মলম নিয়ে আসছি তোর জন্য।
Arú এর চোখের দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে খুব সস্বাভাবিক ভঙ্গিতে কথাটা বললো Kritiķ. এই আগুন ঝড়া লেলিহান দাবানলের মতো চোখে কোন মায়া কিংবা কাতরতা ছিলোনা Arú নিশ্চিত, তাহলে কি ছিল? হিংস্রতা? কিন্তু কেন? এতো ভাবার সময় নেই, যেতে বলেছে চলে যাওয়াটাই উত্তম। শুধু শুধু তাদের quality time এ কাবাব এর হাড্ডি হয়ে গেলো ও। ব্যাপারটা ভেবে লজ্জায় মাথা নিচু করে ছাঁদ বারান্দা ত্যাগ করে Arú.
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
Arú room এ পা রেখেছে কি রাখেনি তার আগেই ওর রুমে ঢুকে ধাপ করে দরজা বন্ধ করে দেয় Kritiķ. এর আগে কখনোই এমনটা করেনি ও, তাই এমন হটাৎ আগমনে Arú একটু ভয়ই পেলো। দুকদম পিছিয়ে পিঠ ঠেকালো শক্ত দেওয়ালে। Full sleeve t-shirt এর দুহাতা উপরে তুলতে তুলতে ধীর পায়ে ওর দিকেই এগিয়ে এলো Kritiķ.
অন্ধকারের মধ্যে সামান্য flash এর আলোয় Kritiķ এর ভয়ংকর অগ্নিমূর্তি দেখে ভয়ার্ত ঢোক গিললো Arú, গলায় কথা আটকে আসছে, তবুও আমতা আমতা করে রিনরিনিয়ে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
ক..কি করছেন? ভ..ভয় লাগছে আমার।
একটা cold আর dominating কন্ঠস্বর কানে এলো Arú এর। অজানা অধিকার বোধ উপচে পড়ছে প্রত্যেকটা শব্দে।
ভয়ে ভয়ে শুধায় Arú. Kritiķ এগিয়ে এসে Arú এর ছ্যাকা লাগা লালচে হাতটা শক্ত করে চেঁপে ধরলো। এবার ভীষণ ব্যথা পেলো Arú, ব্যথায় অনেকটা জোড়েই চেঁচিয়ে উঠলো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আহহ... লাগছে আমার।
Kritiķ থামলো না, ওই হাতটা ধরেই টানতে টানতে washroom এ নিয়ে tap ছেড়ে দিয়ে shower gel লাগিয়ে ইচ্ছে মতো ঘসতে থাকলো Arú এর দগদগে পোড়া হাতটাকে। বিস্ময়, আতংক আর ব্যথায় জর্জরিত Arú এর আপনা আপনি হাত চলে গেলো মুখের উপর। ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কি করছেন আপনি? কোন স্বভাবিক মানুষ কি এতোটা ব্যথা দিতে পারে?
খুব মনোযোগ দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করার মতোই Arú এর হাতটাকে ঘসতে ঘসতে Kritiķ জবাব দেয়,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমি স্বভাবিক তোকে কে বললো?
একেতো পুড়ে চামড়া নরম হয়ে আছে, তার উপর এতোক্ষণ যাবত একনাগাড়ে ঘষামাজার ফলে হয়তো সেটাও উঠে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে গিয়েছে, তাইতো Arú এর কান্নায় এবার জোয়ার এলো। কাঁদতে কাঁদতে নিচে বসে পরলো ও।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
পারছি না ছাড়ুন দয়া করে, ব্যথায় কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে।
এবার Kritiķ ওর হাত ছেড়ে দিলো, অতঃপর ফ্যানায় ভর্তি হাতটা দুগালে চেপে ধরে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Next time, এমন করলে শুধু হাত নয়, bathtub এ ছুড়ে ফেলে পুরো শরীর ধুয়ে তবেই ছাড়বো, I repeat পুরো শরীর।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমি করেছিটা কি?
Kritiķ একটা বিরক্তি মাখা হাসি ছুড়লো Arú এর পানে, তারপর দাঁতেদাঁত চেপে হিসহিসিয়ে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
In future, don't you dare to touch anyone else.
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
আজ সারা রাতেও হয়তো বিদ্যুৎ আসবে না, না এখনো অনু ফিরেছে, একেতো অনুর জন্য চিন্তায় মাথাটা ফেটে যাচ্ছে, তার উপর সন্ধ্যা রাতের ঘটে যাওয়া অমিমাংশিত ঘটনা গুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বারবার। বিছানায় আধশোয়া হয়ে নিজের bandage প্যাচাঁনো হাতটার দিকে উদাসীন হয়ে তাকিয়ে আছে Arú. তখন Kritiķ ব্যথা তো দিয়েছিল ঠিকই আবার নিজ হাতে মলম লাগিয়ে bandage ও করে রেখে গিয়েছে। এই লোককে ঠিক কি বলবে ভেবে পায়না ও পাগল নাকি ভিনগ্রহ বাসিন্দা? Arú এর আনমনা ভাবনার ছেদ ঘটে দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ পেয়ে। এভাবে অপরিচিতদের মতো knock করায় অবাক হয় Arú. নিশ্চয়ই আপা নয়। তাই একটু ঠিক ঠাক হয়ে বসে বললো,
সঙ্গে সঙ্গে দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করে এলিসা। এলিসা মেয়ে, তবে চলন বলন কোনোটাই মেয়েদের মতো নয়, ওর পড়নে সেটে আছে কালো skinny jeans আর crop top তার উপর শীতের overcoat. Bob কাঁটা চুল গুলো গাড়ো বাদামি রঙে রাঙানো, সুন্দর ঠোঁট গুলোতে matte shade er lipstick এর আস্তরন। এক ঝলক দেখলে মনে হবে মাত্রই TV থেকে বেড়িয়ে এসেছে সে। এলিসার কৃত্রিম সৌন্দর্যের কাছে, Arú এর অপার্থিব সৌন্দর্যকে নিছকই সাদামাটা আর ফিকে লাগছে। Arú এর নিজেরও কেমন যেন সংকোচ বোধ হচ্ছিল। কিন্তু এলিসার সম্মোহনী হাসি, আর স্নেহ জড়ানো কন্ঠস্বরে কয়েক মূহুর্তের মধ্যেই তা উবে গেলো। তৈরি হলো ভিন্ন ধারনা, এলিসা মোটেই খারাপ না।
Comments