Unhealthy Obsession [Part.2]

Time flies, yes it does..... এই যেমন চব্বিশ ঘন্টা আগেও Arú পুরান ঢাকার নাম করা বাড়ি ক্রীতিক কুঞ্জের ছাঁদের কোনে দাড়িয়ে ঝিরঝির হাওয়া খাচ্ছিলো। আর এখন এই মূহুর্তে মোটা পশমি leather jacket পরেও হু হু বাতাসে থরথর করে শীতে কাঁপছে। airport থেকে গাড়িতে উঠে কাঁপাকাঁপি একটু কমেছে দুবোনের তবে লম্বা journey তে বড্ড কাহিল হয়ে গিয়েছে শরীরটা। অনুর চেয়েও Arú এর অবস্থা বেগতিক কারণ পুরো flight এ কিচ্ছু খেতে পারেনি ও। Arú এর যে মারাত্মক রকমের flight phobia আছে, সেটা এই প্রথমবারই জানলো অনু। ভাগ্যিস company থেকে গাড়ি পাঠিয়ে ওদেরকে pick করা হয়েছে নয়তো এই অচেনা শহরে Arú কে নিয়ে নির্ঘাত বিপদে পরতে হতো অনুর। অনু Arú কে নিয়ে দুশ্চিন্তা করলেও, Arú এর মনে অন্য কিছু চলছিল, ও ভাবছে, তিথি আর নীলিমার কথা, নিজের বান্ধবীদের একটাবার জানায়নি, Arú এর মনে হচ্ছিলো দেশ ছেড়ে চলে গেলেই ভালো৷
■...In USA...■
■...At San Francisco...■
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে একটা ছোটমোটো duplex বাড়ির সামনে গিয়ে থামলো গাড়িটা, এতোক্ষন সব কিছু ঠিকঠাক লাগলেও হুট করেই nervous লাগতে শুরু করেছে Arú এর, হাত পা গুলো যেন অবস হয়ে এসেছে, সেই সাথে বমিবমি ভাব। মনে হচ্ছে কিছু একটা গলায় আঁটকে আছে। কিছুক্ষন বাড়িটার দিকে তাকিয়েই কাটিয়ে দিলো ও। ততক্ষণে অনু নেমে ওপাশ থেকে বারবার তাড়া দিচ্ছে।
অনু
অনু
কি হলো নাম, তোকে রেখে আমি হসপিটালে যাবো, emergency call এসেছে।
গাড়ির sound proof কাঁচ গলিয়ে সে কথা Arú এর কানে গেলোনা, ও আস্তে ধীরে সময় নিয়ে নামলো। বাইরে প্রচন্ত বাতাস আর গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে ঠান্ডায় জমে যাওয়ার উপক্রম। Arú নামলে, driver এর মতো লোকটা একটা card ধরিয়ে দিয়ে বললো, "This is the password." অরু মাথা কাত করে card টা নিলো। অনু এগিয়ে এসে Arú কে বললো,
অনু
অনু
তারাতারি চল জমে যাবো নইলে।
Arú এখনো নিশ্চুপ, শুধু উপর নিচ মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো। কিন্তু অনুর আর বাড়ির ভেতরে ঢোকা হলো না, তার আগেই ওর phone টা বেজে ওঠে, phone receive করে অনু কি কি বললো সেসব কিছুই কানে যায়নি Arú এর। তবে তার পরপরই ওর শরীর জমে হীম হয়ে গিয়েছে। বাইরের খারাপ weather এই শীতলতার কাছে কিছুই নয়। কারন এবার ওর শরীর নয় বরং কলিজা জমে এসেছে। একটু আগে phone এ কথা শেষ করে, অনু এসে জানায়,
অনু
অনু
আমাকে এক্ষুনি হসপিটালে যেতে হবে Arú, অনেক formalities বাকি, আর সব কাগজ পত্র আমার ব্যাগে, এগুলো না পূরন করলে ওরা মাকে ভর্তি করাতে পারবে না, মায়ের শরীর আরও খারাপ হয়ে যাবে। তুই password দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে গিয়ে বিশ্রাম কর, আমি যত তারাতাড়ি সম্ভব চলে আসবো।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
না, না, আমি একা একা ভেতরে যেতে পারবো না, যদি কেউ থাকে, তার চেয়ে বরং আমি তোর সাথে যাবো।
অনু
অনু
পাগলামি করিস না Arú, বাইরের অবস্থা দেখেছিস? আমি sure রাত হলে ঝড় আসবে, তাছাড়া তুইনা বলেছিস, আমার কথা শুনবি।
Arú ঠোঁট উল্টে কাঁদও কাঁদও হয়ে বলে,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমার ভয় করছে আপা, যদি ভেতরে কেউ থাকে?
অনু
অনু
আমি যতদূর জানি কেউ বাড়িতে নেই, নয়তো driver password দিতোনা, আর যদি থেকেও থাকে তুই নিজের পরিচয় দিবি, কোনো বোকামি করিস না, কেমন?
Arú ঘার কাত করে সায় জানালো। অনু পুনরায় গাড়িতে উঠে পরে, যেতে যেতে বলে,
অনু
অনু
সাবধানে থাকবি, প্রয়োজন হলে phone করবি।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কিভাবে phone করবো আমার কাছেতো sim card ই নেই।
মাথা নিচু করে বিরবিরিয়ে কথাটা বললো Arú.
.................................................
■...At Kritiķ's Duplex...■
অচেনা দেশ,অচেনা শহর, অচেনা একটা বাড়ি, এখন আপাও চলে গেলো, এর চেয়ে অসহায় বোধ হয় এই আঠারো বছরের জীবনে আর কোনোদিন লাগেনি Arú এর। চারিদিকের অবস্থা বেগতিক, আকাশটা কালও মেঘে ঢেকে ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে আছে, এখানে আর দাড়িয়ে থাকার উপায় নেই, তাইতো দুরুদুরু বুকে French gate টা খুলে front yard থেকে পা টিপে টিপে সদরদরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় Arú, তারপর card এ টুকে দেওয়া password দিয়ে দরজা খোলে ও। আশ্চর্য হলেও সত্যি password টা ছিল খুবই কঠিন। কে এতো বুদ্ধি খাঁটিয়ে কৌশলী পাসওয়ার্ড সেট করেছে সেটাই আপাতত ভাবছে Arú. তবে ওর ভাবনা বেশিক্ষণ স্থায়ী হলোনা তার আগেই সদর দরজা খুলে গেলো।
ভেতরে প্রবেশ করে চারিদিকে একবার ভালো করে চোখ বুলিয়ে নিলো Arú, কেউ নেই বাড়িতে। লোকালয় ছাড়িয়ে অনেকটা নির্জন পরিবেশে ছোট্ট একটা duplex বাড়ি। নিচ তলার পুরোটা জুড়ে বিশাল hallroom, তার একপাশে আধুনিক ধাঁচের kitchen counter, counter এর সামনে সেট করা দুটো barstool kitchen আর hall er মাঝে কোন দেওয়াল নেই, বরং kitchen counter এর সামনেই গোলাকার dining. Hallroom এর ঠিক অন্যমাথায় কিছু আধুনিক কারুকাজ করা নড়ম sofa আর divan. Divan এর উপর এবরো থেবরো হয়ে পরে আছে একটা কুমড়ো size এর কালো রঙের helmet. তারসামনে বিশাল monitor. TV হবে হয়তো, কিন্তু এতো বড় TV কে দেখে ভাই?
সামনের দিকে ভালো করে পর্বেক্ষন করে পেছনে চাইলো ও, দেখলো দক্ষিণ দিকের দেওয়ালটা পুরোটাই কাঁচের। Arú ঠোঁট উল্টে মিনমিনিয়ে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Boring, প্রয়োজনের বাইরে কোনো জিনিসই নেই, এতো সুন্দর বাড়িটা আমার হলে আমি মন ভরে সাজাতাম।
আপাতত আর কিছুই দেখার ইচ্ছে নেই ওর, শরীরটা বড্ড ক্লান্ত। বাড়িতে কেউ নেই ব্যাপারটা বুঝে উঠতেই কাঁচুমাচু ভাবটা কমে গিয়ে ঝরঝরয়ি দিগুণ ক্লান্তি নেমে এসেছে শরীর জুড়ে, কাঁচের চকচকে সিরি বেয়ে উপরে উঠে কোনমতে ভারি জামাকাপড় পাল্টে, প্লাজো আর t-shirt গায়ে চড়িয়ে, শরীরটাকে ছেড়ে দিলো নরম বিছানা আর comforter এর ভাজে।
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
■...At night...■
■...In Kritiķ's Room...■
অনু
অনু
Arú, এই Arú, Arúúú.
সুন্দর ভেলভেটের ন্যায় নড়ম বিছানার মধ্যে থেকেই নরেচরে উঠলো ঘুম কাতুরে Arú. অনেক দুর থেকে আপার আওয়াজ ভেসে আসছে, মনে হয় সকাল হয়েছে তাইতো প্রতিদিনের মতোই এতো ডাকাডাকি। কিন্তু আজ ঘুমটা বড্ড ভারী লাগছে, চোখ খোলাই যাচ্ছে না, এতো নরম কেন লাগছে বিছানাটা। মনে হচ্ছে শরীরটা টানছে নিজের দিকে। অনু আবারও ডাকে শব্দ করে,
অনু
অনু
Arú ওঠ৷
ঘুমের মাঝেই Arú বলে ওঠে,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
ঘুমাতে দে না আপা, এই বিছানাটা অনেক নরম আর এই cushion এর গন্ধটা চন্দন কাঠের মতো৷
এই বলে cushion এ নাক ডুবিয়ে আবারও লম্বা শ্বাস টানে Arú. এদিকে Arú এর কান্ডে অনুর লজ্জায় জান যায় যায় অবস্থা।
অনু
অনু
Arú ওঠ, এটা তোর room নয়, আর না তুই বাংলাদেশে আছিস। আমরা আজ সন্ধায়ই America এসেছি ভুলে গেছিস, আর এই মূহুর্তে তুই অন্য কারও room এ ঘুমিয়ে আছিস।
অনুর শেষ কথাটা একেবারে ছক্কা লাগার মতোই Arú এর মস্তিস্কে গিয়ে লাগলো। সঙ্গে সঙ্গে ধরফরিয়ে উঠে বসলো Arú, মুখের কোনে জমে যাওয়া লালাটুকু মুছে শুষ্ক ঢোক গিলে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কি বলিস আপা কার room এ আমি?
অনু আড় চোখে দরজার দিকে দেখালো, Arú ওর দৃষ্টি অনুসরণ করে সেদিকেই চাইলো, দেখলো full sleeve সাদা shirt আর আর black trouser পরিহিত লম্বা লোক, Arú এক পলকেই এই সুদর্শন পরিচিত মুখটা ধরতে পেরেছে, এটা অন্য কেউ নয় সয়ং Jayán Kritiķ চৌধুরী। Arú এর মাথাটা ভোঁ ভোঁ করে ঘুরছে, কি করেছে ও এটা? কার বিছানায় এতোক্ষণ ধরে ঘুমিয়েছে? এই মূহুর্তে দরজার বাইরে থেকে ওর দিকেই অনুভূতিহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে লোকটা, নিস্প্রভ, শীতল চাউনি, কিন্তু বরফ কেঁটে ফেলার মতোই ধারালো তার তীক্ষ্ণতা চোখ দুটোতে। কি আছে ওই চোখে? রাগ, বিরক্তি, কৌতূহল নাকি অন্য কিছু? ধরতে পারলো না Arú, পাছে শুধু আস্তে করে ভয়ার্ত ঢোক গিললো।
অনু
অনু
তারাতারি চল আমাদের room অন্য পাশে৷
অনু তাড়া দিতেই Arú তরিঘরি করে উঠে অনুর পেছন পেছন চলে যায়, যাওয়ার সময় খুব সতর্কে আরও একবার পেছনে তাকায় ও, পেছনে তাকাতেই, হুটকরে চোখাচোখি হয়ে যায় ওই রহস্যে ঘেরা চোখ দুটোর সাথে। সঙ্গে সঙ্গে হৃদয়টা কেঁপে ওঠে ওর, corridor এর মাঝ বরাবর pocket এ হাত গুঁজে দাড়িয়ে এখনো একই ভাবে তাকিয়ে আছে Kritiķ. Arú আর তাকানোর সাহস পেলোনা, দাঁত দিয়ে নখ কামড়াতে কামড়াতে দ্রুত অন্য room এ ঢুকে পরলো ও। ওরা চলে গেলে Kritiķ ও নিজের রুমে পা বাড়ায়, room e ঢুকতেই floor এ পরে থাকা মেয়েদের কাপড় চোপড়ে পা আটকে যায় ওর। সেগুলো একপ্রকার ignore করেই বিছানায় গা এলিয়ে দিলো ও, cushion টা এখনো Arú এর লালায় ভিজে আছে, তারঠিক পাশে সুতোর মতো আঁটকে আছে একটা লম্বা চুল। Kritiķ চুলটা হাতে তুলে ধরে, স্বাভাবিকের চেয়েও বেশ লম্বা চুলটা। খানিকক্ষণ ওটাকে উল্টে পাল্টে নিয়ে ভ্রুকুটি করে Kritiķ বলে,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
এতো বড় কবে হয়ে গেলি?
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
■...The Next Day...■
■...In The Morning...■
Phone এ সকাল 9 টার alarm বেজে যাচ্ছে অনর্গল। Arú চোখ মেলে সটান হয়ে শুয়ে শুভ্র celling এর পানে চেয়ে আছে, আজ আর alarm ওর ঘুম ভাঙাতে পারেনি। ওরা পৃথিবীর উল্টো দিকে আছে সে হিসেবে বাংলাদেশে এখন সন্ধারাত। রাত দিনের এই তারতম্যের কারনেই সারারাত এপাশ ওপাশ করে নির্ঘুম কাটিয়ে দিয়েছে Arú. তার উপর রাতের ওই ঘটনা, কথা নেই বার্তা নেই একেবারে সিংহের গুহায় গিয়ে হাজিরা দিয়ে এসেছে। কি সাংঘাতিক, ভাবলে এখনো চমকে ওঠে Arú.
সকাল 9:35. অনু একটু আগেই রেডি হয়ে বেরিয়ে গিয়েছে হসপিটালের উদ্দেশ্যে। বলেছে কি একটা জরুরি কাজ আছে তাই সকাল সকাল যাচ্ছে। বয়সের তুলনায় অনুর মধ্যে maturity ভাবটা অনেক বেশি, দায়িত্ব জ্ঞানের দিক দিয়ে সবসময় সচেতন সে। আসলে বাস্তবতা যার দরজায় বেশি হানা দেয়, সেই ততবেশি mature হয়,এখানে বয়সের কোন হাত নেই। Arú তখনও শুয়েই ছিল, উদাসীন হয়ে কি জানি কি ভাবছিল। তখনই নিচ থেকে এক অপরিচিত কন্ঠস্বর কানে ভেসে এলো ওর। গলার আওয়াজ শুনে মনে হচ্ছে পুরুষ মানুষ। লোকটা নিচ থেকেই হাক পেরে পেরে ডেকে চলেছে তখন থেকে।
সায়র
সায়র
JĶ, JĶ, আমি জানি তুই room এ আছিস নিচে নাম এক্ষুনি, নইলে কিন্তু আমিই উপরে চলে আসবো। Important কথা আছে ইয়ার!
লোকটা আবারও ডাকতে যাবে, তখনই উপর থেকে ভেসে আসা মেয়েলী রিনরিনে কন্ঠস্বর সুনে, হকচকিয়ে গেলো সে।
সায়র
সায়র
এই বাসায় মেয়ে কোত্থেকে এলো? ভুল address আসিনিতো?
Arú room থেকে বেরিয়ে দোতলার corridor এ দাড়িয়ে মালকিনের মতো করে গলায় আত্নবিশ্বাস জমিয়ে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
এখানে JĶ বলে কেউ থাকেনা ভুল বাসায় knock করেছেন। আ...
Arú এর কথা মাঝ পথেই আটকে গেলো, কারন ততক্ষণে পাশের room থেকে Kritiķ ও বেরিয়ে এসেছে, লম্বায় Arú এর চেয়ে দিগুণ Kritiķ. ওর মুখভঙ্গিমা দেখতে হলে Arú কে মাথা উঁচিয়ে চাইতে হয়, এই মূহুর্তে Arú সেভাবেই তাকিয়ে আছে Kritiķ এর মুখের দিকে, অনুভূতিহীন টকটকে ফর্সা মুখ, ফর্সা মুখশ্রী জুড়ে দুদিন clean shave না করা খর দাড়িগুলো মাথা চাড়া দিয়ে আছে। দাঁতে দাঁত চেপে আছে বলে তীক্ষ্ণ চোয়ালটা blade এর মতোই ধারালো মনে হচ্ছে, লম্বা চুল গুলো এলোমেলো হয়ে কপাল ছুয়ে আছে আর পেছন দিক থেকে ঘার, সেই সাথে এটে আছে গোলাকার দুটো ভাসা ভাসা চোখ। প্রথম দর্শনে একত্রিশ বছরের Kritiķ কে Arú এর চোখে greek god এর মতোই সুদর্শন ঠেকলো।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Go back to your room.
পাশ থেকে আসা, একটা গমগমে আওয়াজে Arú এর ধ্যান ভেঙে গেলো। বেকুবের মতো পাশে তাকিয়ে উল্টে আবার প্রশ্ন করলো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কি?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Go back to your room.
শাস্ত, নিস্প্রভ কন্ঠস্বর, তবে কথার মাঝেই আটকে আছে কঠোর আদেশ। Kritiķ এর expression, বাচনভঙ্গিমা, কিছুই মাথায় ঢুকলো না Arú এর, ও উল্টে বাঁচালের মতো বলতে শুরু করলো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আরে আমি কেন room এ যাবো? দেখতে পাচ্ছেন না, কথা নেই বার্তা নেই অন্যের বাসায় এসে লোকটা JĶ JĶ বলে চেচাচ্ছে, ওটাকে আগে বিদায় করতে হবে।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Room এ যেতে বলেছি তোকে।
এবার কাঠকাঠ স্পষ্ট বাংলায় Arú এর মুখের দিকে তাকিয়েই কথাটা বললো Kritiķ. Arú ভয়ার্ত ঢোক গিললো, এক মূহুর্তের জন্য মনে হলো ও আট বছর আগের Kritiķ এর সামনে দাড়িয়ে আছে। তারপরেই ওর ডানপিটে মস্তিস্কটা সচকিত হয়ে উঠলো ওর, মনে মনে ভাবলো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
[উনি যা বলবে সেটাই আমাকে শুনতে হবে নাকি আশ্চর্য, আমিকি এখনো ছোট আছি যে ওনাকে ভয় পাবো হুহ।]
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কি হলো কথা কানে যায়নি?
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
যাবোনা।
এ যেন Arú এর স্বঘোষিত স্নায়ু যুদ্ধ। Kritiķ নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে মেজাজ সংবরণ করলো, তারপর রুষ্ট কন্ঠে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
মুখে মুখে তর্ক আমার একদম পছন্দ নয় Arú.
"Arú". Kritiķ এর ঘুমঘুম husky গলায় নিজের ছোট্ট নামটা শুনে আরও একবার বক্ষপিঞ্জরে কিছু একটা শক্ত টান অনুভব করলো Arú. কেন যেন মনে হলো Arú নামটাও অনেক ভারী আর কঠিন। পৃথিবীর ইতিহাসে এই নামের অস্তিত্ব কোন কালেই ছিলোনা, পৃথিবীর সব থেকে uncommon নাম এটা। কিন্তু সেসবে মাথা ঘামিয়ে দমলো না Arú এর আত্নঅহংকারী মন, বরং নতুন উদ্যমে Kritiķ এর কথার কাঠকাঠ জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিলো সে। যাকে বলে এক বলেই ছক্কা হাঁকানো। ঠিক তখনই আগমন ঘটে নিচতলার তৃতীয় ব্যক্তির।
সায়র
সায়র
কিরে, দেখছিস তখন থেকে ডাকছি তবুও pocket এ হাত গুজে খাম্বার মতো দাড়িয়ে আছিস? আমাকে কি তোর মানুষ মনে হয়না?
লোকটা এগিয়ে আসতেই Kritiķ Arú এর সামনে এসে ওকে আড়াল করে দাড়ায়। চম্বা চওড়া, greek god shape ওয়ালা body এর অধিকারী Kritiķ এর পেছন থেকে রোগা Arú কে তো দুরে থাক ওর ছায়াটা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। অতঃপর Kritiķ বলে,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কি চাই?
সায়র
সায়র
কি চাই মানে? American Super Model সায়র আহমেদ কি তোর ভিক্ষারী মনে হয়?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
না, তবে ছ্যাঁচরা মনে হচ্ছে।
সায়র
সায়র
কিহ!
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
তোরা সবকটা মিলে আবারও আমার house password hack করেছিস তাইনা।
সায়র মুখে বিরক্তি ফুটিয়ে বললো,
সায়র
সায়র
এছাড়া উপায় কি? Knock করলে তো জীবনেও দরজা খুলিস না, phone ধরিস না, SMS seen করিস না, হুটহাট উধাও হয়ে যাস। কোন দিন দেখবো একা একা এই ভুতুরে বাড়িতে মরে পরে আছিস। আমার সন্দেহ হচ্ছে JĶ তুই আসলেই মানুষ তো? নাকি vampire type কিছু? সত্যি করে বল?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
তোর ইচ্ছা, যা খুশি একটা ভেবে নে।
সায়র বিরক্তিতে চোখমুখ খিঁচে একনাগারে অভিযোগের list উগরে দিচ্ছে। এদিকে Kritiķ এর পেছনে এখনো ঠায় দাড়িয়ে আছে Arú, দৌড়ে room এ চলে যাওয়ার উপায় নেই, কারন Kritiķ ওর কব্জিটা শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছে, মুখ দিয়ে কিছু বলবে, তার সুযোগ হচ্ছে না, কারণ সায়রের মুখ nonstop চলছে। একটানা, একনাগাড়ে টানা 10 মিনিট ধরে nonstop কথা বলে তবেই ক্ষান্ত হলো সায়র। 10 মিনিট? হ্যা 10 মিনিটই হবে, Kritiķ তো চুপচাপ ঘরির দিকেই তাকিয়ে ছিল। পেছন থেকে Arú নিজের হাত ছাড়ানোর কসরত করে যাচ্ছে। কিন্তু Kritiķ এর শক্ত বাধনের কাছে সেই চেষ্টা পিপীলিকার সমতূল্য। ওর পেছনে একটা ছায়া নড়াচড়া করছে দেখতে পেয়েই সায়র উদ্বিগ্ন হয়ে বললো,
সায়র
সায়র
তোর পেছনে ওটা কি JĶ? তোর ছায়া এতো ছোট হয়ে গেলো কি করে, আর এমন নরছেই বা কেন? তোকে সত্যি সত্যি ভুতে ধরলো নাকি? দাড়া সবাইকে call করে এক্ষুনি আসতে বলছি।
সায়র একটা মানুষ যে তিল থেকে তাল বানিয়ে ফেলে৷ তারপর শুরু হবে JĶ কে নিয়ে বেহুদা গবেষণা। তাই সকল রহস্যের ইতি টেনে নিজের চোখ দুটো খিঁচে বন্ধ করে Arú এর হাতটা ছেড়ে দিলো Kritiķ. সায়র সচকিত নজরে ওর পেছনে চাইলো, দেখলো shirt আর t-shirt পরা গোলগাল গড়নের পিচ্চি একটা মেয়ে, বিশাল লম্বা লম্বা silky চুলগুলো দুই পাশে ঝুটি করে বুকের সামনে ফেলে রেখেছে, একে কি বলা যায় কেশবতী? নাকি এলোকেশী? সে যাই হোক মেয়েটার চেহারায় বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট, ফর্সা আদুরে মুখটা রাগে লাল হয়ে আছে, কপালেও বিরক্তির ভাজ। লাল লাল গাল দুটো দেখেই মনে হচ্ছে একটু টেনে দেই, সেই আশাতেই হাত বাড়িয়েছিল সায়র, পিচ্চিটার গাল টেনে দেবে বলে। কিন্তু সে আশাতে একবালতি জল ঢেলে Arú কে একপ্রকার ধাক্কা মেরে room এর ভেতরে পাঠিয়ে দিয়ে ঠাস করে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দিলো Kritiķ. সায়র উদ্বেগ প্রকাশ করে বললো,
সায়র
সায়র
এভাবে কেন ধাক্কা মারলি মেয়েটাকে? ওর নিশ্চয়ই লেগেছে, দেখেই মনে হচ্ছে তুলোর মতো শরীর।
Kritiķ দাঁত চেপে, ঘারের রগ ফুলিয়ে বলে,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
লাগুক, লাগার জন্যেই মেরেছি। আর ওর শরীর তুলোর মতো নাকি লোহার মতো সেই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল।
সায়র
সায়র
এভাবে বলছিস কেন, পিচ্চি মানুষ তাই বলেছি। By the way কে ও?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
No one.
এই বলে সিরি ডিঙিয়ে ধাপধাপ করে নিচে নেমে যায় Kritiķ. সায়র Kritiķ এর পেছন পেছন নামতে নামতে বলে,
সায়র
সায়র
By any chance তুই কি এই পিচ্চি মেয়েটার সাথে কিছু...
কথা শেষ করতে পারলো না সায়র তার আগেই ওর মুখ বরাবর একটা cushion ছুড়ে মারে Kritiķ,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
মুখে লাগাম টান। তুই জানিস, I FUKING hate women.
সায়র
সায়র
তাহলে মেয়েটা কে? দেখে তো মনে হচ্ছে বাঙালি।
Kritiķ আরাম করে divan এ বসে পরলো, তারপর tea table এ দুপা তুলে দিয়ে কানে headphone লাগিয়ে monitor এ video game শুরু করতে করতে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
বললাম তো No one, treat her like a servant.
সায়র বুঝলো Kritiķ মেয়েটার ব্যাপারে কথা বলতে চাইছে না। ওদিকে Jayán Kritiķ এর বলা প্রত্যেকটা কথা স্পষ্ট ভাবে কানে পৌঁছালো Arú এর। ঢোক গেলার মতো করেই প্রত্যেকটা অপমানজনক কথা গিলে নিলো Arú. মায়ের জন্য আপা কতকিছু করছে আর ও এতোটুকু সহ্য করতে পারবে না, তা কি করে হয়? একটু আগে লাগা ধাক্কাটা বেশ জোরেই ছিলো, অসমান দেওয়ালে লেগে কনুইয়ের কাছটা ছিঁড়ে গিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। Kritiķ এর কথা গায়ে না মেখে, পায়ে পায়ে এগিয়ে গিয়ে washroom এর tap ছেড়ে রক্তাক্ত যায়গাটা ধুয়ে নিলো Arú. তারপর সামান্য antiseptic আর one time bandage ও লাগিয়ে নিলো। Arú বুঝে গিয়েছে এখন থেকে ঠিক এভাবেই নিজের ক্ষত নিজেকেই সারাতে হবে ওকে। যা হয়ে যাক আপাকে কিছুই বলা যাবে না।
.................................................
■...In The Hallroom...■
সায়র couch এ শুয়ে phone টিপছে, আর Kritiķ monitor এ bike riding খেলছে, হঠাৎ করে কি মনে করে শোয়া থেকে উঠে বসে সায়র, চিন্তা গ্রস্থদের মতো কপালে ভাজ রেখে বলে,
সায়র
সায়র
এলিসার বাবা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে গেছে।
Kritiķ এর দৃষ্টি monitor এ আটকে আছে এখনো, ও chewing gum চিবুতে চিবুতে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
I know.
সায়র
সায়র
এবার নিশ্চয়ই খারাপ কিছু হবে এলিসার সাথে।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
তুই আছিস কি করতে?
সায়র দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বললো,
সায়র
সায়র
এবার আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে, এবার শুধুমাত্র এলিসা নয়, আমরা চারজনই target.
Kritiķ খেলাটা pause করে, দোতলায় Arú এর ঘরটার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা ভাবলো, তারপর বিরবির করে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
If he dares to touch, I swear I'll kill him.
Kritiķ ওর ভয়ানক শীতল চাউনি নিক্ষেপ করলো সায়রের দিকে, বাঁজপাখির নজরের মতোই তীক্ষ্ণ সে চাউনি। ওর চোখ জোড়াই যেন একটা জীবন্ত threat, ঠোঁটের কোনে ক্রুর হাসি ঝুলিয়ে খুব আস্তে আস্তে জবাব দিল Kritiķ.
সায়র
সায়র
কি বলছিস বিরবিরিয়ে কাকে মারবি তুই?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
এলিসার বাবাকে।
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
■...At The Noon...■
সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়েছে, এখনো ফেরেনি অনু, অবশ্য ফেরার কথাও না, বলেই গিয়েছে ফিরতে সন্ধ্যা হবে, হঠাৎ করে বিদেশের মাটিতে পা রেখেই ওর আপার এতো ব্যাস্ততা ধরতে পারলো না Arú. এদিকে সারাদিন না খেয়ে থেকে শরীরটা কাহিল হয়ে গিয়েছে ওর। নিচে গিয়ে কিছু একটা খেতে হবে নয়তো, না খেয়ে BP fall করে অসুস্থ হয়ে গেলে বিদেশের মাটিতে কে দেখবে ওকে? যেমন ভাবনা তেমন কাজ। Arú দরজাটা সাবধানে একটু ঢিলে করে উঁকি দিলো বাইরে। তৎক্ষনাৎ নিচ থেকে সকালের পুরুষালী কন্ঠটা আবারও ভেসে এলো কানে,
সায়র
সায়র
এই যে এলোকেশী, খেতে এসো।
■...In The Kitchen...■
Arú দুপা সামনে বাড়িয়ে corridor দিয়ে নিচে চাইলো, দেখলো, apron পরে হাতে frying pan নিয়ে ওর দিকে তাকিয়েই হাসছে সায়র। ফর্সা মুখশ্রীতে সেই সাবলীল হাসি বেশ ভালোই মানিয়েছে। ঠিক তার অন্য পাসে dining এ বসে চুপচাপ কাঁটাচামচ দিয়ে কিছু খাচ্ছে Kritiķ, ওর ভাবভঙ্গি এমন যেন ওর আশেপাশে কোনো মানুষই নেই, সব গরু ছাগল। Arú এবার নিচে নেমে এলো। সায়র নিজের সাবলীল হাসিটা মুখে ঝুলিয়ে রেখেই ওর দিকে খাবারের plate এগিয়ে দিয়ে বললো,
সায়র
সায়র
বসে পড়ো।
Arú plate এর দিকে উঁকি দিতেই ওর চোখমুখ বিরক্তিতে কুঁচকে এলো, দুপুরের খাবারে এসব ঘাসপাতা কে খায়? সাথে একটুকরো মাংস ভাজা, steak হবে হয়তো আর একটু খানি mashed potato.
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
ব্যাস এটুকুই Lunch?
গোলগোল অসহায় চোখ করে ওদের দুজনার দিকে তাকালো Arú. সায়র একবার Arú er দিকে আরেকবার Kritiķ এর দিকে তাকাচ্ছে। Kritiķ খেতে খেতে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
দেখতে তো এইটুকুনি, এতো খাবার রাখিস কোথায়?
খুব রাগ হলো Arú এর, America এসেছে বলে এইসব ঘাসপাতা খেয়ে বাঁচতে হবে? তাছাড়া ভাত নেই, ডাল নেই, তরকারি নেই এটা কেমন দুপুরের খাবার। মনে মনে American green card ধারী বাঙালিদের হাজারটা তিরস্কার জানালো Arú. দেশে থাকেনা বলে দেশের ঐতিহ্যটাও mashed potato এর সাথেই ভর্তা বানিয়ে খেয়ে ফেলেছে এরা। তারপর আলগোছে নিজের লম্বা চুলগুলো হাত খোঁপা করে, ওরনাটা কোমরে পেঁচিয়ে এগিয়ে গেলো রান্না ঘরের দিকে। Cabinet আর fridge হাতরে, হাতের কাছে, চাল ডাল যা পেলো, সব কিছু একসাথে মাখিয়ে চুলায় বসিয়ে দিলো, কয়েক মিনিটের মধ্যেই খিচুরীর মো মো গন্ধে সুবাসিত হয়ে উঠলো চারদিক। সায়র নিজের plate সরিয়ে রেখে, রান্নাঘরের দিকে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। ওর কান্ডে Kritiķ ভ্রু কুঞ্চিত করে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কি হলো খাচ্ছিস না কেন? খেয়ে বিদায় হ।
সায়র দাঁত কেলিয়ে বললো,
সায়র
সায়র
খিচুড়ি, কতদিন পর বাঙালি খানা, লোভ সামলাতে পারছিনা।
Kritiķ আবারও নিজের খাওয়ায় মন দিলো। একটু পর এক plate খিচুড়ি এনে সায়রের সামনে রাখলো Arú.
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
খেয়ে বলুন তো কেমন হয়েছে।
গড়ম খিচুড়ি মুখে নিয়েই আবেশে চোখ বুঁজে এলো সায়রের, ওর মুখের expression দেখলেই বোঝা যায় ও খাবারটা ঠিক কতটা পছন্দ করেছে। খাবার গিলে নিয়ে, তৃপ্তমাখা হাসি দিয়ে সায়র Kritiķ কে বললো,
সায়র
সায়র
তোর বোন ফাটাফাটি রান্না করে দোস্ত। এরকম রান্না খেতে পারলে আমি যখন তখন তোকে শালা বানিয়ে ফেলবো, Damn sure.
নিজের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে অগ্নি দৃষ্টিতে Arú এর ক্লান্ত মুখশ্রীটা পরখ করলো Kritiķ, তারপর একটা তাছ্যিল্যের হাসি দিয়ে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
ও আমার বোন নয়, ও আমার বোন হতেই পারেনা।
সায়র
সায়র
মানে?
সায়রের মুখে কৌতুহল স্পষ্ট।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
ও আমার বাপের দ্বিতীয় বউয়ের আগের পক্ষ।
Kritiķ এর এতো বিশ্রী অপমানজনক সম্মোধনেও একটু ও টললো না Arú, বরং মৃদু হেসে সায়রের উদ্দেশ্যে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
জি উনি ঠিকই বলেছেন, আমি ওনার আপন কিংবা সৎ কোন type বোনই নই। আমার নাম Aurorá Shéikh.
Kritiķ এর কথা সায়র ও খুব একটা গায়ে মাখলো না, ও Arú এর কথার জবাবে একরাশ উচ্ছ্বাস নিয়ে জানায়,
সায়র
সায়র
আমি সায়র আহমেদ, কিন্তু বাংলাদেশি নই Indian, আমার home town Darjeeling.
Darjeeling নামটা শুনতেই আগ্রহের প্রবনতা বানভাসী হলো Arú, Darjeeling আর Kashmir ওর পছন্দের list এ সবার আগে, জীবনে একবার হলেও যায়গা গুলোতে যেতে চায় Arú, পাহাড়ের গায়ে জমে থাকা মেঘ, বৃষ্টি, বরফ, ঝড়না, সব কিছু নিজ হাতে ছুয়ে দেখতে চায়৷ নিজের মন গহীনে লুকোনো ইচ্ছার খানিকটা পর্দা খুলে যাওয়ার দরুন Arú বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
জানেন Darjeeling এ ঘুরতে যাওয়া আমার অনেক দিনের সপ্ন।
সায়র
সায়র
তাই কোথায় ঘুরতে চাও Darjeeling এ, আর কার সাথে যাবে?
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আ...
Arú এর মুখ থেকে কথার বহর বের হতে না হতেই, সশব্দে হাতের কাঁটাচামচ ছুরে ফেলে, উঠে দাড়িয়ে পরলো Kritiķ, কয়েক কদম এগিয়ে গিয়ে Arú এর মুখোমুখি দাড়িয়ে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
I hate Bangali food. So, next time আমার বাসায় এসব cheap রান্না, cheap আলোচনা কোনোটাই করার সাহস করবি না। I'm warning you.
Arú সঙ্কিত হয়ে দু পা পিছিয়ে গেলো, চোখের সামনে কি ঘটছে কেন ঘটছে বুঝে উঠতে একটু time লাগলো, Kritiķ বারবার ওকে অপমান করছে, ভেঙে ফেলতে চাইছে কিন্তু কেন? তবে, Arú ও তো চুপ মেরে যাবার মেয়ে নয়, Kritiķ এর সুক্ষ অপমানের জবাবে, Arú পাল্টা তীর ছুড়লো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমি যতদূর জানি আপনি নিজেও খাঁটি বাঙালি, তার উপর নাম করা রাজনৈতিক বংশের ছেলে।
ব্যাস এতটুকু বলারই ফুসরত পেলো Arú, এরপরই টেবিলে রাখা steak কাঁটার silver রঙের ছুড়িটা ওর গলায় চেঁপে ধরে Kritiķ.
সায়র
সায়র
What's wrong with you, JĶ? কি করছিস এটা?
Kritiķ এর কান্ডে সায়র হকচকিয়ে উঠে কিছু বলতে যাবে, তার আগেই ওকে হাতের ইশারাতে থামিয়ে দিলো Kritiķ, দাঁত দিয়ে দাঁত পিষে ফেলে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমাদের মধ্যে কথা বলতে আসিস না সায়র।
Kritiķ যেভাবে 'আমাদের' কথাটা উচ্চারণ করলো, মনে হচ্ছে স্বামী স্ত্রী তাদের সাংসারিক ঝগড়া করছে, আর ও-ই তৃতীয় ব্যক্তি হয়ে আগ বারিয়ে তাদের ঝগড়া থামাতে এসেছে, কিন্তু ব্যাপারটা তো তেমন নয়, সায়র একদিনেই বুঝে গিয়েছে Kritiķ মেয়েটাকে অসম্ভব অপছন্দ করে। তাহলে কে রেখে গেলো মেয়েটাকে এখানে? এই জমের হাতে, এখন না হয় সায়র আছে, কিন্তু রাত বিরাতে হুট করে Kritiķ রেগে গেলে, তখন কি হবে? সায়র ভাবতে ভাবতে সটান বসে পরলো। Kritiķ এখনো একই ভাবে দাঁড়িয়ে আছে, ভয়ে নিজের জামা নিজে শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছে Arú. চোখ দুটো পানিতে ছলছল করছে এই গড়িয়ে পরলো বলে।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
মুখে মুখে তর্ক আমার একদম পছন্দ নয়, এখন থেকে আমি যা বলবো তুই সেটাই করবি, আমার সামনে মোটেই তেজ দেখাতে আসবি না, নয়তো তোর তেজ গলিয়ে দিতে আমার এক second ও সময় লাগবে না। Remember it.
ক্ষীপ্ততা সুস্পষ্ট ওর দুচোখে, সেই সাথে মুখের কথা গুলো চপেটাঘাতের মতোই শক্তিশালী। তবুও কতো নির্বিঘ্নে কথাগুলো বলে, room এ গিয়ে শব্দ করে দরজা লাগিয়ে দিলো Kritiķ. Kritiķ চলে যেতেই Arú এর চোখের জলের বাধ ভেঙে যায়, অসহায়ের মতো নিজের চোখের জলকে থামাতে বারবার চোখ মুছছে Arú. অভিমানী কান্নায় নাকের ডগাটা লাল হয়ে গিয়েছে। সায়র এগিয়ে গিয়ে, নিজের রুমালটা Arú এর দিকে এগিয়ে দিলো।
সায়র
সায়র
মুখটা মুছে নাও Arú.
Arú নিলোনা, বরং দৌড়ে hallroom ছেড়ে দোতলার ছাঁদ বারান্দায় চলে গেলো। বড্ড আত্মসম্মানে লেগেছে ওর। একজন অপরিচিত মানুষের সামনে এতোটা অপমানিত এর আগে কখনো হয়নি ও৷ Kritiķ কেন ওকে দুচোখে দেখতে পারেনা, কেন ওর উপর সবসময় ক্ষীপ্র হয়ে থাকে তা আজও ধরতে পারেনা Arú. এদিকে সায়র নিজেও Kritiķ এর কান্ডে বিরক্ত। কোন এক অজানা কারনে অস্বাভাবিক রাগ ওর। কখন কি কারনে রেগে যায় সেটা কেবল ওই জানে, আর একবার রেগে গেলেতো কথায়ই নেই, এমন সব ভয়াভহ কাজ করে যেগুলো স্বভাবিক মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়। এতো রগচটা স্বভাব নিয়ে Kritiķ যে কি করে college এর professor হলো তা ভেবে পায়না সায়র।
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
■...In The Afternoon...■
সন্ধ্যায় Kritiķ কে বিদায় জানিয়ে চলে যায় সায়র, আজ রবিবার ছিল বলেই এসেছিল, প্রত্যেক সপ্তাহের ছুটির দিনে, এলিসা, সায়র নয়তো অর্নব কেউ না Kritiķ এর সাথে দেখা করতে এই জনমানবহীন নিরব state এ আসে। নয়তো মাসের পর মাস গেলেও Kritiķ এর কোন খোজ মেলে না, না কোন social media, না কোন Internet, না কোন face to face আলাপ। অনেকটা অস্বাভাবিক lifestyle বলা চলে ওর, স্বভাবিক মানুষ এভাবে একা একা থাকলে দমবন্ধ হয়ে মারা যাবে নিশ্চিত। প্রয়োজনের বাইরে গিয়ে ও শুধু একটা কাজই করে, সেটা bike riding. Kritiķ সায়রকে এগিয়ে দিতে gate এর কাছে এলে, সায়র গাড়িতে উঠতে উঠতে বললো,
সায়র
সায়র
Please ভাই মেয়েটাকে আঘাত করিসনা। বড্ড মিষ্টি মেয়েটা, তুই ওকে রাখতে না চাইলে বলিস, আমি আমার বাসায় নিয়ে পুতুল বানিয়ে সাজিয়ে রাখবো ওকে, তবুও ওকে torture করিস না। I request you.
সায়রের কথায়, জিভ দিয়ে গাল ঠেলে একটা তীর্যক আর রহস্যময় হাসি দিয়ে, Kritiķ বলে,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Are you FUKING kidding me? নিজের heartbeat কে কেউ আঘাত করে?
সায়র
সায়র
উমম! কিছু বললি?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Nothing, তুই যা, আর দয়াকরে প্রত্যেক weekend এ তিনজন মিলে আমাকে জ্বালানোটা বন্ধ কর।
সায়র নিজের ছাঁদ খোলা BMW নিয়ে উল্টো পথে যেতে যেতে পেছনে না ঘুরেই হাত নাড়িয়ে বললো,
সায়র
সায়র
See you next weekend, bye bye.
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
■...In The Evening...■
সন্ধার দিকে অনুও ফিরে আসে। roome এ গিয়ে পরনের মোটা coat খুলে, চারিদিকে খুঁজতে শুরু করে Arú কে।কিন্তু কোথাও Arú নেই। ও ডাকতে ডাকতে corridor এর অন্য মাথায় গিয়ে দেখলো Arú চুপচাপ ছাঁদ বাড়ান্দার মেঝেতে বসে আছে। হাত দুটো দিয়ে রেখেছে ঠান্ডা railing এ তার উপর চিবুক। কাঁচ ঠেলে বারান্দায় পা রাখতেই হুহু বাতাসে হাড় হীম হয়ে এলো অনুর, এই ঠান্ডার মধ্যে Arú কি করে বারান্দায় বসে আছে বুঝে উঠতে পারলোনা অনু। তটস্থ গতিতে Arú কে টেনে ভেতরে নিয়ে আসলো ও। Arú এর ফর্সা মুখ ঠান্ডায় নীল বর্ণ ধারন করেছে, মুখটা শুকিয়ে এইটুকুনি হয়ে আছে।2
অনু
অনু
ঠিক আছিস বোন? দুপুরে খেয়েছিস?
অনুর উদ্বিগ্ন প্রশ্নে সচকিত হয়ে উঠলো Arú, শরীরের ক্লান্তি টুকু ঝেড়ে ফেলে দিয়ে, মুখে প্রসস্ত হাসি ঝুলিয়ে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
খেয়েছি আপা, ভেতরে হাসফাস লাগছিল তাই বাইরে এসে একটু বসলাম, তুই খেয়েছিস, আর মা কেমন আছে? আমি দেখতে যাবো মাকে।
অনু
অনু
মা ICU তে আছে Arú, এখন গেলেও কাছে যেতে পারবি না, তারচেয়ে বরং cabin এ shift করুক তখন না হয় যাবি।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
তোর কষ্ট হচ্ছে আপা তাইনা?
অনু
অনু
নারে, Kritiķ ভাইয়া আগেভাগেই company কে সতর্ক করে রেখেছিল, তাই তারাই সব ঝামেলা সামলেছে, আমিতো শুধু মায়ের কাছে কাছে ছিলাম।
দুবোন আরও অনেক সুখ দুঃখের আলাপ করছিল, তখনই নিচ থেকে calling bell বেজে ওঠে। অনু বলে,
অনু
অনু
তুই দাঁড়া আমি গিয়ে দেখছি।
একটু পর কতগুলো packet নিয়ে ভেতরে আসে অনু। Arú কৌতুহল নিয়ে শুধায়,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
এগুলো কি আপা?
অনু
অনু
মনেতো হচ্ছে বিরিয়ানির packet.
বিরিয়ানির নাম শুনতেই সারাদিন না খাওয়া Arú er পেট গুড়গুড়িয়ে ওঠে,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কি বলিস আপা তুই order করেছিস?
অনু এদিক ওদিক না বোধক মাথা নারায়।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
তাহলে?
অনু packet গুলো table এ রেখে বললো,
অনু
অনু
তুই দাঁড়া আমি Kritiķ ভাইয়াকে একবার জিজ্ঞেস করে আসি।
অনু Kritiķ er room এ knock করে ঢুকলো, দরজাটা খোলাই ছিল। Kritiķ laptop এ কিছু একটা করছিল তখন। অনু একটু ইতস্তত গলায় বলে,
অনু
অনু
ইয়ে মানে ভাইয়া, আপনি কি কোন খাবার order করেছিলেন?
Kritiķ সজোরে এদিক ওদিক মাথা নাড়ায় যার উত্তর না৷ অনু নিরাশ হয়ে যেতে যেতে বললো,
অনু
অনু
তাহলে মনে হয়, ভুল করে।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
ইয়ে অনু।
পিছু ডাকে Kritiķ এবং অনু ফিরে তাকায়,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমার মনে হয় তোরা first time এসেছিস তো তাই company তোদের welcome gift হিসেবে খাবার গুলো পাঠিয়েছে। After all, তোরা chairwoman এর মেয়ে।
অনু শুনে খুশি হয়ে গেলো, উপর থেকে Arú কে ডেকে বললো,
অনু
অনু
খা Arú, এগুলো company থেকে পাঠিয়েছে আমাদের জন্য।
Arú আর অপেক্ষা করলো না, সারাদিনের অভুক্ত পেটটাকে আসকারা দিতে বসে পরলো পেট পুজো করতে। খুশি মন নিয়ে অনু চলে যেতেই Kritiķ আবারও নিজের কাজে মন দিলো।
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
■...After 2 Days...■
■...In The Afternoon...■
■...In Aurorá's Room...■
একা একা room এর মধ্যে বসে বসে ঠিক কতক্ষণ থাকা যায়? খাও, দাও আর ঘুমাও। গত দুদিন ধরেই এভাবে কাটাচ্ছে Arú. আপাও সকাল হতে না হতেই হসপিটালে ছোটে। Kritiķ বাড়িতে থাকা না থাকা একই কথা, সে কখন আসে কখন যায় সেই ধারণাটুকু পর্যন্ত নেই Arú এর। তাছাড়া এই বদমেজাজি লোকের সাথে মুখ দেখাদেখি না হওয়াটাই ভালো, এককথায় good luck. Room এর মধ্যে এদিক ওদিক পায়চারি করছে Arú. অলস মস্তিষ্কটা ভাবছে কি করা যায়? কিভাবে সময় কাটানো যায়, তখনই গুরুদায়িত্ব মনে পরার মতোই মনে পরে যায় নিখিল ভাইয়ের কথা। গত দুদিনে Arú তো ভুলেই গিয়েছিল নিখিল ভাইয়ের সাথে একই দেশে আছে ও।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কিন্তু মাত্র এই কয়েকদিনের দুরত্বে কিভাবে আপনাকে ভুলতে বসলাম আমি নিখিল ভাই? ভালোবাসলে ভোলা যায়? তারমানে কি আমি তাকে ভালোবাসিনা? না না কি ভাবছি এসব। যে করেই হোক নিখিল ভাই কে খুঁজে বের করবো আমি। কিন্তু কিভাবে?
তখনই চোখ গেলো bed side table এ অযত্নে পরে থাকা মুঠো ফোনটার দিকে, যেটা গত দুদিন ধরে বন্ধই পরে আছে। Arú এগিয়ে গিয়ে ফোনটা হাতে তুলে নিলো, মনে মনে ভাবলো এটাকে charge দিয়ে লাভ নেই কারণ ওর কাছে sim card নেই। তাহলে এবার কি হবে? Arú পা দুলিয়ে খাটে গিয়ে বসে পরে। তারপর ভাবতে ভাবতে আনমনে বলে,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমাকে ধাপে ধাপে এগোতে হবে, সবার আগে নিখিল ভাইয়ের versity খুজে বের করতে হবে, আর সেটা জানতে হলে তিথিকে call করতে হবে, একমাত্র ওই জানবে নিখিল ভাই কোন versity তে higher studies এর জন্য এসেছে। তারপর address নিয়ে সোজা নিখিল ভাইয়ের মুখোমুখি। কিন্তু তিথির সাথে যোগাযোগ করার উপায় কি?
এতো বড় বাড়িতে নিশ্চয়ই একটা landline থাকবে? হ্যা থাকবেই, শুধু খুজে বের করতে হবে। নিজেকেই নিজে আস্বাস দিলো ও। তারপর আর দেরি করলো না, তৎক্ষনাৎ ডায়েরির পাতা থেকে তিথির number টুকে রাখা পৃষ্ঠাটা ছিড়ে নিচের দিকে ছুট লাগালো নতুন কোন সুযোগের আশায়।
▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎▪︎
■...In The Hallroom...■
বেখেয়ালি Arú একপ্রকার নাচতে নাচতেই নিচে নেমে এলো। তবে শেষ সিঁড়িটা পেরোতেই ওর পায়ের উদ্যম গতি থেমে গেলো, সেই সাথে হাস্যোজ্জল মুখটাও চুপসে গিয়ে থমথমে দৃশ্য ধারণ করলো। অন্ধকার hallroom এ, কালকের মতোই divan এ বসে tea table এর উপর দুপা তুলে bike riding vedio game খেলছে Kritiķ. Arú মনে মনে বিরক্ত হলো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
[এতো বড় হয়েও সারাদিন vedio game খেলে এই লোক, আশ্চর্য office নেই নাকি? আবার হতেও পারে কোটি পতি বংশের একমাত্র উত্তরাধীকারী Mr.কুম্ভকর্ণ।]
নিজের মনের কথায় নিজেই ঠোঁট টিপে হেঁসে ওঠে Arú. সঙ্গে সঙ্গে monitor এর game টা pause হয়ে যায়। Kritiķ ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে কয়েক second, তারপর গম্ভীর স্বরে বলে,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
What happened? এভাবে হাসছিস কেন? আমি বয়সে তোর থেকে ঠিক কত বছরের বড় তুই জানিস?
Arú এর হাসি থেমে যায়, চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার তার সাথে নিস্তব্দ পরিবেশ, কেবল monitor থেকে আসা মৃদু আলো ছাড়া আর কোনো আলোই জলছে না হল room এ। জানালা থেকে শুরু করে, কাচের দেওয়ালের পর্দাটা পর্যন্ত টেনে দেওয়া। এমন পরিবেশে Kritiķ এর রাগি আওয়াজ বেশ ভয়ানকই ঠেকলো Arú এর কানে। আর এই মূহুর্তে Kritiķ যে, ওর দিকে চোয়াল শক্ত করে তাকিয়ে আছে, ব্যাপারটা ভয়ের উপর যা থাকে সেখানে গিয়ে পৌঁছেছে। Arú এই নিরবতা ভাঙতে চাইলো, তাইতো নিস্তব্ধতা কাটিয়ে রিনরিনে আওয়াজে বললো,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আপনার office নেই?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কোন office?
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
এমা, কি বলছেন আপনাদের company, JĶ Group. Wait 'JĶ' তারমানে company টা আপনার নামে আর কালকে ওই ভাইয়াটা আপনাকেই ডাকছিল, Jayán Kritiķ কে ছোট করে JĶ.
আঙুল নাড়িয়ে নাড়িয়ে Arú এর করা বিশ্লেষণ Kritiķ শুনেছে কি শোনেনি কে জানে? ও আবারও monitor এর নজর দিয়ে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমার সামনে একদম হাসবি না তুই। তোর হাসিটা বিশ্রী লাগে আমার। আর ওটা আমার নয়, তোর মায়ের office. আর না ওখানে আমি বসি, তুই চাইলে অবশ্য বসতে পারিস।
Arú মনে মনে ভরকায়,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
[কি বলে এই লোক। আমি কেবল কলেজ পাশ করে admission নিলাম, উনিকি ঠাট্টা করছেন, মানুষ এতো serious face নিয়েও ঠাট্টা করতে পারে? অদ্ভুত।]
Arú আর ঘাটায় না, Kritiķ কে বেশি ঘাটালে হুট করে কি জানি কি অপমান করে বসে তার ইয়ত্তা নেই। তাই Arú কথা ঘুরিয়ে বলে।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
বলছি যে light টা জ্বালাতাম, একটু কাজ ছিল।
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
No.
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
কিন্তু কেন?
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
আমার অন্ধকার ভালো লাগে তাই, যা করার এই অবস্থাতেই করে যা।
হালকা নিঃশ্বাস বেরিয়ে এলো Arú এর বুক চিড়ে, Kritiķ বলেছে মানে, সে কথার এক চুলও নরবে না। তাই অন্ধকার হাতরেই landline এর সামনে গিয়ে সফেদ carpet বিছানো মেঝেতে বসে পড়লো Arú. কাগজ থেকে খুব সাবধানে number টা টুকে, call লাগালো তিথির number এ। কয়েকবার ring পরতেই call ধরেছে তিথি, বাংলাদেশে তখন রাত দশটা কি এগারো তবুও কথা শুনে মনে হচ্ছে ঘুমে কাতরাচ্ছে তিথি।
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
📞 তিথি আমি Arú বলছি। কেমন আছিস?
তিথি চমকায়, একেতো বিদেশি নাম্বার তার উপর দেশে থাকতেই সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল Arú, এখন হুট করেই আবার কেন কল দিলো? তিথি কিছু বলবে তার আগেই Arú বলে,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
📞 তিথি আমার তোর সাথে অনেক কথা আছে সব খুলে বলবো তোকে, তার আগে ছোট্ট একটা information দে, নিখিল ভাই কোন university তে পড়ার জন্য USA এসেছে?
তিথি ওপাশ থেকে কি বললো, সেটা শোনা না গেলেও আপাতত monitor এ এতোক্ষণ ধরে নির্দ্বিধায় চলতে থাকা bike টা brake fail করে বিদ্ধস্ত হয়ে পরে আছে।পর্দায় বড় বড় অক্ষরে লেখা উঠেছে 'game over'. ওপাস থেকে টলতে টলতে তিথি বললো,
তিথি
তিথি
📞 বেশ করেছি বলেছি, তুই আমার বন্ধু হওয়ার যোগ্যতা রাখিসনা। আমাদের friendship টাকে কোনোকালেই গুরুত্ব দিস নি তুই, উল্টে সবসময় আমাকে আর নীলিমাকে use করে গেছিস, এটা বল, ওটা বল, এটা জানা, সেটা জানা, কেনরে আমিকি তোর চাকর ? তোর information collect করাই কি আমার কাজ? তার উপর সবসময় এমন ভাব করে এসেছিস যেন তুই-ই perfect, তুই-ই ক্রীতিক কুঞ্জের মালকীন। আর আমরা কি?
কেন যেন হুট করে ফুপিয়ে কেঁদে উঠেলো Arú, কাঁদতে কাঁদতে অসহায়ের মতো করে বলছে,
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗙𝗘𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
📞 কি বলছিস এসব তিথি, তোর মাথা ঠিক আছে? তিথি তুই কি drunk এভাবে কেন কথা বলছিস, তুই কি কোন বাজে ছেলেদের পাল্লায় পরেছিস? বলনা?
খানিকটা তাচ্ছ্যিল্যে হেসে তিথি আবারও বলে,
তিথি
তিথি
📞 আরেহ তুইতো আসলেই কচুরিপানারে। আমার মাথা ঠিক আছে কি নেই সেটা জিজ্ঞেস করার তুই কে? আমিতো এই ভেবে তোকে বন্ধু বানিয়েছিলাম যে তুই অতবড় বাড়ির মেয়ে, পুরান ঢাকার নামকরা real-estate এর family business তোদের। OMG. কিন্তুু তুই তো আসলে ও বাড়ির কেউই না, আশ্রিতা মাত্র, তোদের জন্য ওই বাড়ির একমাত্র ছেলে Jayán Kritiķ চৌধুরী নিজ বাড়িতে পা পর্যন্ত রাখেনা। তাহলে ভাব তোরা কত নিচ। আর তোর সাহস দেখে তো আমি রীতিমত অবাক হচ্ছি, তুই কিনা নিখিল ভাইয়ের খোজ করছিস? তুই জানিস নিখিল ভাই কতবড় scientist হবে? তুই তার নখের যোগ্যতাও রাখিস না Arú. তাই তোর ভালোর জন্যই বলছি ওনার বউ হওয়ার যে দিবাস্বপ্নটা দেখছিস না? সেটা এবার বন্ধ কর। আর যাই হোক নিখিল ভাইয়ের মতো high status এর ছেলে অন্তত, তোকে বিয়ে করবে না।
অরু চোখ দুটো বন্ধ করে সমস্তটা শুনে গেলো। এই ভয়টাই তো পেয়ে এসেছিল এতো গুলো বছর ধরে। আজ এতো দুরে এসেও সেই ভয় থেকে পালাতে পারলো না ও। ঠিকই মুখোমুখি হয়ে গেলো তিক্ততায় পরিপূর্ণ কিছু চড়ম সত্যের। নিস্তব্দ শুনশান হল room এ Arú এর ফোঁপানির আওয়াজ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। Arú কান্নায় ভেজা গলায় আরও একবার তিথি কে অনুরোধ করলো,
তিথি
তিথি
📞 Ridiculous.
ওপাশ থেকে এতোটুকুই শোনা গেলো, তারপর শুধু কল কেটে যাওয়ার আওয়াজ হলো। Arú এর কি হলো কে জানে, আশেপাশে কে আছে কে নেই, কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে call কাটতেই হুহু আওয়াজ করে কেঁদে উঠলো। হয়তো নিজের ঘনিষ্ট বন্ধুর কাছ থেকে এই তিরস্কারটা মোটেই হজম করতে পারেনি ও। আধারে ঢাকা বদ্ধ ঘরে সেই কান্নার আওয়াজ বরই ব্যথাতুর শোনালো। লম্বা চুলগুলো পুরো মেঝে জুড়ে ছড়িয়ে আছে, দুহাত মেঝেতে রেখে তাতে নিজের ভর ছেড়ে দিয়ে অনর্গল কাঁদছে Arú. কান্নার তোপে শরীরটা বারবার ঝাঁকি দিয়ে উঠছে, সেই তালেতালে মৃদু রিনঝিন শব্দ করছে পায়ে আটকে থাকা নুপুর জোড়া। কিন্তু সবার দৃষ্টিভঙি এক নয়, ধ্যান ধারণাও এক নয়, কারও ক্ষেত্রে হৃদয়টা হয় বরফের মতোই নির্জীব আর অনুভূতিহীন। সামান্য কান্নাকাটি দিয়ে সেই বরফ গলানো দুষ্কর। এই যেমন Arú এর কান্নাকাটিও পাশের divan এ বসে থাকা Kritiķ এর হৃদয় ছুতে পারলোনা। Kritiķ হুট করেই একটা অদ্ভুত কাজ করে বসলো। নিজের যায়গা ছেড়ে উঠে এসে Arú এর হাতে হ্যাঁচকা টান মেরে ওকে জোর করে দাঁড় করিয়ে দিলো। তারপর ওই হাত ধরেই টানতে টানতে দরজার বাইরে বের করে দিয়ে বললো,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
Out.
Arú কিছু বুঝে ওঠার আগেই শব্দটা উচ্চারণ করে ধাপ করে দরজা আটকে দেয় Kritiķ. তারপর ভেতরে গিয়ে মেঝেতে পরে থাকা কাগজের টুকরোটা তুলে হাত মুষ্টিবদ্ধ করে, pocket হাতরে phone বের করে কাউকে call লাগায়,
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
𝗠𝗔𝗟𝗘 𝗟𝗘𝗔𝗗
📞 Hello, অর্নব। আমি একটা number forward করেছি তোকে, এর A to Z সব information চাই। As soon as possible.
■■■■■■■■■■■■■■
𝐓𝐎 𝐁𝐄 𝐂𝐎𝐍𝐓𝐈𝐍𝐔𝐄𝐃

Download

Like this story? Download the app to keep your reading history.
Download

Bonus

New users downloading the APP can read 10 episodes for free

Receive
NovelToon
Step Into A Different WORLD!
Download NovelToon APP on App Store and Google Play