Fypli

Fypli

fypli e1

ভোরের আলো মাত্র ছড়িয়ে পড়েছে। সবুজ ঘাসে শিশির বিন্দু এখনো ঝলমল করছে। পাহাড়ঘেরা একটি ছোট্ট গ্রাম—নাম “রক্তিপুর”। এখানেই জন্ম নেয় এক অসাধারণ বালক, যার নাম Fypli।

তার জন্মের দিনেই গ্রামে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হয়েছিল। প্রবীণরা বলেছিল,

– “এই ছেলেটা আলাদা হবে। এর জন্মই হয়েছে যুদ্ধের বজ্রগর্জনের মধ্যে।”

শিশুকাল থেকেই Fypli-র ভেতরে ছিল এক অদ্ভুত দৃঢ়তা। অন্য বাচ্চারা যখন খেলতো দড়ি টানাটানি বা গোল্লাছুট, সে তখন বাঁশের লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে যোদ্ধা সাজত। লাঠিটা দিয়ে বাতাসে আঘাত করতো, কল্পনায় শত্রুকে হারিয়ে ফেলতো। তার চোখে সবসময় এক ঝলমলে আগুন—যেন কারো সামনে মাথা নোয়াতে জানে না।

তার বাবা ছিলেন এক সাধারণ কৃষক। সূর্যের আলো ফোটার সাথে সাথে মাঠে যেতেন, আর ঘাম ঝরিয়ে ধান কেটে আনতেন। তার মায়ের চোখ ছিল সিংহীর মতো। প্রতিদিন সন্ধ্যায় রান্নার আগুনের পাশে বসে ছেলেকে বলতেন,

– “Fypli, মনে রেখো, সত্যের জন্য লড়াই করা সবচেয়ে বড় বীরত্ব। তুমি যদি দুর্বলকে রক্ষা করতে পারো, তবে তুমি-ই হবে আসল যোদ্ধা।”

এই কথাগুলো তার বুকের ভেতরে গেঁথে যেত। সে মায়ের চোখের ভেতরে প্রতিদিন এক ধরনের আগুন দেখত, আর সেই আগুন ধীরে ধীরে তার নিজের ভেতরেও জন্ম নিত।

গ্রামের দিনগুলো

গ্রাম ছিল শান্ত, কিন্তু চারপাশের পাহাড়ে মাঝে মাঝে ডাকাতদের আনাগোনা হতো। রাতে যখন দূরে আগুন জ্বলতে দেখা যেত, গ্রামের লোকেরা ভয় পেত। কিন্তু ছোট Fypli তখনও অদ্ভুতভাবে শান্ত থাকত। একবার ডাকাতরা গ্রামে ঢুকে একটি গরু চুরি করতে এলো। মানুষজন ভয়ে পালিয়ে গেলেও, মাত্র দশ বছরের Fypli বাঁশের লাঠি হাতে চিৎকার করে দৌড়ে যায়।

– “আমার গ্রামের কিছু নিতে দেবে না! চলে যা!”

ডাকাতরা প্রথমে হেসেছিল,

– “হা হা! এই বাচ্চা আবার আমাদের থামাবে?”

কিন্তু তাদের অবাক করে দিয়ে ছোট্ট Fypli তাদের একজনের হাতে আঘাত করেছিল। অবশ্যই সে হেরে যায়, কিন্তু তার সাহস দেখে গ্রামের সবাই হতবাক হয়ে যায়। সেইদিন থেকে লোকেরা তাকে অন্য চোখে দেখতে শুরু করে।

বন্ধুত্ব আর শৈশব

Fypli-র ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধু ছিল। তারা একসাথে দৌড়াত, নদীতে ঝাঁপ দিত, গাছে উঠত। কিন্তু খেলাধুলার মাঝেও Fypli সবসময় লড়াইয়ের অনুশীলন করতো। তার বন্ধুরা কখনও বলত,

– “তুই সবসময় সেনা-সেনা খেলিস কেন?”

সে উত্তর দিত,

– “একদিন আমি সত্যিই সেনা হবো। এই মাটির জন্য লড়াই করবো।”

বন্ধুরা হাসতো, কিন্তু মনে মনে বিশ্বাস করতো যে এই ছেলেটা হয়তো সত্যিই একদিন অন্যরকম কিছু করবে।

মা-বাবার শিক্ষা

তার বাবা বলতেন,

– “মাটি যার, দেশ তার। মাটি রক্ষা করতে না পারলে, মানুষ কিছুই নয়।”

মা বলতেন,

– “যোদ্ধা হও, কিন্তু কখনো নিষ্ঠুর হয়ো না। একজন বীর কেবল শত্রুর সাথে লড়াই করে, নিরীহের সাথে নয়।”

Fypli প্রতিদিন ভোরে উঠে মাঠে দৌড়াত। কখনও নদীর পাড় ধরে, কখনও পাহাড়ি পথে। তার পায়ের শব্দ যেন প্রতিদিনের ভোরকে জানিয়ে দিত –

“আমি আসছি।”

অদ্ভুত দৃঢ়তা

একবার গ্রামের পাশে বজ্রপাত হয়, সবাই ভয়ে ঘরে ঢুকে যায়। কিন্তু Fypli খালি পায়ে দাঁড়িয়ে থাকে মাঠে। বজ্র আকাশ চিরে আছড়ে পড়ছে, আর সে দু’হাত আকাশের দিকে তুলে চিৎকার করছে—

– “আমি ভয় পাই না! আমি লড়বো!”

সেই মুহূর্তে গ্রামের প্রবীণ এক বৃদ্ধ ফিসফিস করে বলেছিলেন,

– “এই ছেলেটা একদিন শুধু আমাদের গ্রাম নয়, পুরো দেশকে বাঁচাবে।”

শেষ দৃশ্য (অধ্যায় ১ এর সমাপ্তি)

সন্ধ্যা নামছে। গ্রামের চারপাশে কুয়াশা জমেছে। রান্নার ধোঁয়া উঠছে ঘর থেকে। Fypli চুপচাপ বসে আছে নদীর পাড়ে, হাতে তার বাঁশের লাঠি। চোখে অদ্ভুত আলো।

সে মনে মনে শপথ করছে—

“একদিন আমি সেনা হবো। আমি শুধু এই গ্রাম নয়, পুরো দেশকে রক্ষা করবো। যত ঝড় আসুক, আমি হার মানবো না। আমার নাম মানুষ একদিন স্মরণ করবে সাহসী সৈনিক হিসেবে।”

আকাশে প্রথম তারা জ্বলতে শুরু করে, আর সেই তারার আলোয় ছোট্ট Fypli-র চোখে আগুনের মতো ঝিলিক ফুটে ওঠে।

Episodes
Episodes

Updated 1 Episodes

Download

Like this story? Download the app to keep your reading history.
Download

Bonus

New users downloading the APP can read 10 episodes for free

Receive
NovelToon
Step Into A Different WORLD!
Download NovelToon APP on App Store and Google Play