NovelToon NovelToon

তেঁতোময় প্রেমের মধুময় আসক্তি

# পর্ব ____ ১ লেখিকা-<(AB Tamanna)>

সাদা-মাটা বোরকা পরিহীতা ২০ বছর বয়সি তামান্না প্রথম বারের মত পা রাখলো ~নর্থ সাউথ ইউনির্ভাসিটিতে ~

মনটা তার আনচান এ পরিপূর্ণ। জিবনে প্রথম তার বান্ধবী ঐশিকে ছাড়া কোথাও পড়বে সে। ইউনির্ভাসিটিতে পা রাখতেই সুকনো পাতার মত চুপসে গেলো তার মুখ, আসে-পাসের সবাই যে তামান্নার অচেনা.....😨😨। তামান্নার মুখটা আরো মলিন হয়ে গেলো যখন দেখলো , ইউনির্ভাসিটির সব মেয়েরাই ওয়েস্টেন ড্রেস পড়িহীতা 😞😞😞। কেউ ( জিন্স+শার্ট)👖👕 কেউ (টাইস + টপস), বিদেশী কিছু মেয়েরা তো শর্ট জিন্সের সাথে টি-শার্ট।২০২৫ সালের আধুনিক বা বলতে গেলে মর্ডান মেয়ে বলে কথা।

কেম্পাস দিয়ে হাটছে ও তামান্না বিষন্নতায় যেন মরে যাচ্ছে। যেন মনে হচ্ছে শত শত কবুতর ও পায়েরার মাঝে যেন একটি এতিম কাক ঘুরে বেরাচ্ছে চারপাসে। এতিম হবে না তো কী? আদোরের বান্ধবীটা তো আর এই ইউনির্ভাসিটি তে এডমিশন নিতে পারে নি, পেয়েছে ~বাংলাদেশ open ইউনির্ভাসিটি ~🏫 ।আসে-পাসের সবাই কেমন অদ্ভুদ দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে বেচারা এতিম তামান্নার দিকে ,কারন তামান্নার ড্রেসিং টা ছিল সবার থেকে ভিন্ন । তামান্নার ৬ষ্টীয় ইন্দ্র তাকে জানান দিল কিছু আসোর্যকর দৃষ্টির তার ই দিকে। 😏😒

তড়িৎ গতিতে ১ম বর্ষের বাংলা ডিপার্টমেন্ট খুজতে লাগলো। তাড়াতাড়ি class খুজতে থাকায় কারোর সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যায় তামান্না। এমনকি হাতে প্রচুর জালতে থাকে কেন জানি।

মাথা উঠিয়ে সামনে তাকালো তামান্না। সামনে ৩ টা মেয়ে ও ২ টা ছেলে। সাদা চেক টানা সার্ট পরা ছেলে টা তামান্নার কাছে যাবে তখনি সামনের মর্ডান মেয়েটি থামিয়ে দিলো, ছেলেটিও থেমে গেলো,

মনে হচ্ছিল যেন এই মেয়ে টা তাদের দলের লিডার। গায়ের রং ধবধবে ফর্সা, short জিন্স ও ১টি নীল রং এর টি-শার্ট । চুল গুলো ছোট ছোট চুল এ আবার হালকা খয়রী রং । না, আমেরিকান হলে মন্দ হয় না ।

তামান্না এক পলকেই জেন মেয়ে টার উপর একটা ক্রাস খেয়ে বসে আছে । তামান্না মনে মনে ভাবল,"( নাহ , মাসাআল্লাহ মেয়েটা অনেক সুন্দর । একদম কোনো হূরপরীর মতন😯😯। )"

তামান্নার ধেয়ান ভাঙ্গলো সামনে থাকা হূরপরীর মত মেয়ে টার মুখে ডাইনিবুড়ির মতন কথা সুনে।-"এই ইডিয়েট,রাসকেল,রেহায়া মেয়ে দেখে চলতে পারো না ! 😠😠 অন্ধ নাকি!😠দিলে তো আমার ২০০ টাকার কফি ফেলে😡।"-

তামান্না মুচকি হেসে দাড়িয়ে পরলো মনে মনে ভাবল,"(আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম এতো বড় ইউনির্ভাসিটিতে বড়লোক পরিবারের বড়লোক ছেলে-মেয়ে রাই তো পড়বে।But আমি অসহায় 😩😩 আমাকে তো সব কিছু মেনে নিতে হবে।)

-" I'm sooo sorry আপু আমি ইচ্ছে করে কাজ টা করি নি। Again আমাকে মাফ করে দাও"-

তামান্নার কথা সুনে সবার চোখ কপালে। এতো সুন্দর কন্ঠ আগে কোন দিন যেন সুনেনি তারা। কি মায়া ভরা কন্ঠ তার। এযেন কোনো কোকিলের কিচির-মিচির করে ডাকা-ডাকি করছে ও গান গাইছে। পাশ থেকে একটি ছেলে বলে উঠলো,-"বাহ! তোমার কন্ঠতো খুব সুন্দর। তুমিতো মনে হয় নূর কেও ছাড়িয়ে যেতে পারবে।"-

ছেলেটির কথাটা সুনে রেগে গেলো নূর , বিকট শব্দে চিৎকার দিয়ে বলল,-"Stop it Ray😡😡"-

এটা সুনে নূর নামে ফর্সা মেয়েটি তামান্না চড় মারতে উদ্রত হলো। ৫ সেকেন্ড হওয়ার পড় ও যখন চড় টা তামান্নার গালে পড়ে নি.. তখন তামান্না চোখ খুলল।

😣😣দেখা গেলো নূর এর হাত তামান্নার পাসে থাকা আর একটা মেয়ে। New ট্রেন্ডের পাকিস্তানি ছেলোয়ার-কামিছ হালকা আকাশি রং এর হেজাপ ও এক সাইড এ উরনা।

-" নূর এই সব কি রকমের বেয়াদোবি!😠😠 ও তোমার মত 2.23 পাওয়া মেয়ে না ও Golden A+ পাওয়া মেয়ে , স্কলারর্শিপ পেয়ে এখানে পড়তে এসেছে। আর তোমার তো দেখছি কোনো বুদ্ধি নেই😏😏, জুনিয়ার দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয় তা কি তুমি ভুলে গেছ।"-

নূর রেগে উঠে বলল,-" দেখো নাহার আমাদের মাঝখানে কথা বলতে এসো না, আমি এটা like করবো না।"- 😠

নাহার জোড়ালো কন্ঠে বলে উঠলো,-" আমার classmate এর গায়ে হাত দিবে .... আর আমি কি এটা like করবো কি ভেবাছো? 😉😏

নূর আরো কিছু বলবে কিন্তু নূরের আশে-পাশে , থাকা ছেলে-মেয়ে ৪ টি তাকে কিছু বলতে দিলো না। sorry বলে নূরকে টেনে নিয়ে চলে যেতে চাইলো। নূর যাওয়ার সময় চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো,-" অসর্ব , কুশিৎত মেয়ে তোকে আমি দেখে নিব।😡👺💀"-

তামান্না আসে-পাসে তাকালো, আসে-পাসের সবাই কেমন অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, অনেকে তো ভিডিও ও করছে ,😔😔

নূর এর মুখ থেকে আসা কিছু তৃক্ত কথা সুনে কেন জানি তামান্নার দুচোখ দিয়ে টপ টপ করে দুফোটা নোনা জল গরিয়ে পড়তে চাইলো।কিন্তু তামান্না তা মুছে নিয়ে বলল,-" নাহার আপু thank you.....😇😇।"-

নাহার ইকটু ইতস্তত হয়ে বলল,-"আরে....😅😅 আমি তোমার সিনিয়র না। আমরা সেইমইয়র, আমরা দুজনেই ১ম বর্ষের ।"-

তামান্নাকে এক পলক দেখে নিল নাহার, তামান্নার পড়নে ছিলো কালো হেজাপ সহ কালো রং এর বোরকা। কালো নিকাপ,কিছুটা চেপ্টা সোনালি রং এর গোল চশমা।চোখের নিচে পর পর ২ টা তিল।

-"তোমাকে এই look এ বেশ মানিয়েছে।"-😸😸

-"thanks 😊 তোমাকে ও অনেক সুন্দর লাগছে"-

-" এই যা তোমার নাম ই তো জানা হয় নি, 😋😋 তা বলগো সুন্দরি তোমার নাম টা কী?"-

-" আমি তামান্না আফরিন ময়ূরী আর আমি সুন্দর না তাই আমায় শন্তনা দিয়ে লাভ নেই।"-😥😥

নাহার ইকটু ভাবশিল কন্ঠে বলল,-"ok okচলেন মিস সুকন্ঠী but বিনাসুন্দরি লেকচার সুরু হতে আর ২ মিনিট বাকি।"-

নাহার বিষয় টা মজার ছলে নিলে ও তামান্নার জিনিস টা ভালো লাগলো না মুখটা গম্ভির হয়ে এলো। তারা দুজনেই হাটছে👭class এর সামনে এসে নাহার তামান্নাকে ভেতরে পাঠিয়ে নাহার পিছনে তাকালো, কাউকে খুজলো,কালো হুডি পরা একটা ছেলে কে দেখে নাহার খুশি হয়ে চলে গেলো class এ।

লোকটি কাউকে SMS করে বলল,"-📲 তামান্না ইউনির্ভাসিটি তে এসে গেছে , এখন আর তোর চিন্তা করতে হবে না। আমি সামলে নিব।"-

-"📲 ok got it bro............"-

<(*TBC*)>

# পর্ব____ ২ লেখিকা-<(AB Tamanna)>

লেখিকা-<(AB Tamanna)>

সব class সমাপ্ত, ছুটি হলেও অনেকেই এখনো class এ পড়ছে আবার অনেকেই গল্প করছে। কিছু সময় পর class থেকে বের হয়ে যায় তামান্না, আস-পাস টা ইকটু ঘুরবে সে, এটাই এখন তার মূল টপিক।

প্রথমে লাইবেরি📚📚 পরে কেন্টিন, কম্পিউটার ল্যাব, সাইন্স ল্যাব, সাংস্কৃতিক club সব কিছু ঘুরে দেখলো তামান্না। নাহার এখন তার class এ ....... ওরা এক ব্যাচ হলেও class আলাদা তাই তামান্না আর নাহারকে ডাকেনি।

~~ কেম্পাসের পিছনের দিকটা থেকে ফুলের পাঁপড়ি উড়ে আসতে দেখে হেসে দেয়, কোনো প্রকার তাল বিলম্ব না করে চলে যায় কেম্পাসের পিছন দিকে।

তামান্নার মুখ খানি জল জল করে উঠলো কেম্পাসের পিছনটায় গিয়ে। কি মনরোম সেই দৃশ্য। সামনে বড় একটা ইট সিমেন্ট এর তৈরি ঘাট বাধানো পুকুর। পুকুরের ভিতর পদ্ম ফুলেরা যেন লুকু-ছুপি খেলছে। পুকুরের বা-পাস দিয়ে চলে যায় সরু একটি রাস্তা। রাস্তাটি চলে যায় বড় মাঠের মধ্যে বোধ হয় এটা একটি playground ⚾⚽🎾🏀 হবে।

পুকুরের ডান-পাসে সিরিয়াল করে লাগানো বড় বড় কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছ। ১টা নয় ২টা নয় প্রায় ৫ টা ফুলের গাছ🌸🌸। আসে-পাসে পাখিদের কিচির মিচির, হালকা-আবছা রোদ, মৃদূ বাতাস। এ সব কিছু দেখে মনটা জুরিয়ে গেলো তামান্নার।

হঠাৎ পিছন থেকে নাহার ডাকতে ডাকতে দৌরে আসে তামান্নার কাছে।

-"এই তামান্না, তুই আমায় রেখে একা কই ছিলি? এখানে কী করিস? পাঁজি আমি কত ভয় পেয়েছিলাম জানিস। আজ তোর খবর না পেলে তো সে আমাকে মেরেই-------------😶😶"-

নাহার চুপ করে গেলো চোখ খিচেঁ জিভে কামঁড় দিয়ে মনে মনে বলল,"(💭এইরে এখনি তো মুখ ফুসকে বলে ফেলছিলাম সিক্রেট টা )"

-"কে মেরে ফেলবে?"-

তামান্নার এমন কথায় ভোরকে গেলো নাহার, এখন নাহার কি বলবে? আমতা আমতা করে বলতে লাগলো,-" ইয়ে.....মানে....আমি 😣😣 আমি ভয় পেয়ে ছিলাম যে আমার বান্ধুবী টা কই হারিয়ে গেলো। 😁😁 তোকে খুজে না পেলে তো তোর আব্বু-আম্মু আমাকে মেরেই ফেলবে।"-

আব্বুর কথা মনে করে কিছুটা মন খারাপ হলেও আম্মুর কথা মনে করে তামান্না তাচ্ছিল্লের হাসি হেসে বলল,-"মারবে না। আমার আম্মু তোকে মারবে না বরং চো আরো খুশিই হবে।"-

কথাটি বলার সময় তামান্নার মুখটা মলিন হয়ে আসে। নাহার মজা ভেবে হেসে উড়িয়ে দেয়।

~~ হয়তো মজা ভেবে কথা গুলো উড়াতো না যদি না নাহার তামান্নার মলিন মুখ খানি দেখতো, দেখবে কি করে হেজাব এর সাথে মাক্স না নিকাপ পরেছে। নিকাপ খুলতে বললে বলে যে নিকাপ নাকি খুললে পরে লাগানো যাবে না। তাই সারাদিনে কিছু খায় ও নি।

নাহার মুচকি হাসি দিয়ে বলল,-" চল যাই বাসায় জেতে হবে তো।"-

-"ঠিক আছে চল"-

তারা ইউনির্ভাসিটির গেইটে পৌছে যায়, নাহার চলে যায় Car 🚖🚖 দিয়ে। আসলে নাহার হচ্ছে এই ইউনির্ভাসিটি চেয়ারম্যান এর মেয়ে ফর্সা ত্বক,গোলগাল চেহারা,পুটুল পুটুল চোখ মোট কথা হলো নাহার হচ্ছে এক অপূর্ব সুন্দর্যের অধিকারীনি। তাদের বাসার রাস্তা দুইটা দুই দিকে হওয়ায় তামান্নাকে একাই যেতে হবে তাদের বাসার রাস্তায়।

তামান্না বির বির করে বলল,-"বাসা😕😐! বাসায় এখন কে যায় আমি সাংবাদিকের মেয়ে কাজী তামান্না আফরিন ময়ূরী😤😤

তাচ্ছিল্লের হাসি হেসে দেয় তামান্না ,-" আমার তো এখন তিনটা টিউসন আছে এগুল শেষ করে ডায়রেক ৯ টার দিকে ফিরতে হবে বাসায়, সাংবাদিকের মেয়ে বলে কথা।"- 😑😑

~~ আসলে তামান্নার তিনটা টিউসন তিন দিকে ১টা বসুন্ধরার I block এ , ১টা অ্যাপলোর পাসে আর ১টা নদ্দার ঢালি বাড়িতে।

~~ আসলে তামান্নার ছোট বোনের বান্ধবী হচ্ছে এই তিন জন, তামান্নার ছোট বোন তিশা সবসময় তার বোনের জন্য ভালো ফলাফল করে ,তাই তামান্নার কাছেই পরতে দিয়েছে তাদের ,তারাও ভালো ফলাফল পেয়ে সন্তুষ্ট ।

নাহার ফ্রেস হয়ে খেয়ে-দেয়ে ফোনটা হাতে নিলো দিয়ে সেভ করা নাম্বার এ call দিলো নাহার, রিং বাজছে, call টা রিসিভ হলেই নাহার বলল,-"📱📞 Assalamualaikum ভাইয়া কেমন আছো? বাসায় ফিরে গেছো? "-

ফোনের ওপাস থেকে ১টা গম্ভীর পুরুষালী কন্ঠ ভেসে উঠলো,-"📱📞 ভালো তুই?"-

আরে ভাই এতো কোনো কন্ঠ না এ যেন ১টা😩😩 বুলডোজার, সোনার সাথে সাথেই গাঁ সিউরে উঠলো নাহারের।

\-"📱📞 জ্বী ভালো। আচ্ছা আমাকে ১টা কথা বলতো ভাইয়া তুমি বিদেশ থেকে এসে আগে বাসায় না গিয়ে ওকে দেখতে আসলে কেন?"-

নাহার ইকটু দুষ্টু হাসি দিয়ে বলল,"-📱📞 হুম........ কী চক্কর চলছে...... "-

আবার ফোনের ওপাস থেকে ভেসে এলো ওই অপরিচিত মানুষটির কন্ঠ,-"📱📞 দেশে ফিরে সবার প্রথম ওকে দেখবো বলে নিজেকে নিজে কথা দিয়ে ছিলাম তাই আর কী? "-

নাহার জিঙ্গাসা সূচক দৃিষ্ট দিয়ে বলল,-"📱📞 OK তা এখন তুমি কী করে ইউনির্ভাসিটি তে প্রবেশ করবে,তোমার তো পড়া-শোনা শেষ? "-

\-"📱📞 কাল শুক্রবার, শনিবারে দেখে নিশ কিভাবে যাই। রাখি ছোট বম 💣 ডাকছে।"-

\-"📱📞 আচ্ছা ভাইয়া রাখি শনিবারে দেখা হবে।"-

ছেলেটি ফোনটা রেখে দেবে এমন সময় ফোনের ওয়াল্ডপেপার এর দিকে নজর দিলো। সেখানে ছোট্ট ১টা মেয়ের ছবি, মেয়েটির বয়স বেশি হবে না এই ১২ বা ১৩ বছর সাদা রং এর সাথে লাল জরজেট এর উরনা গলায় পেচানো, ডান হাতে ১টা হাওয়াই মিঠাই নিয়ে খাচ্ছে, আর বা হাতে ৪টি হাওয়াই মিঠাই নিয়ে ধরে রেখেছে।

মেয়েটির বিবরণ কি আর বলবো ধবধবে র্ফসা না আবার কুচকুচে কালো ও না, শেমবর্ণের চেহারায় যেন মায়ার লুটুফুটি খাচ্ছে বারংবার।

ছেলেটি ভয়েস deep করে বলল,-"৮ বছর প্রায় ৮ টা বছর পর আবার আমার ময়ূরীর দেখা পাব।"-

ছেলেটা কিছুটা সময় পর হেসে দিয়ে বলল,-"ভাবতেই যে কত ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারব না।"-

<(TBC)\>

#পর্ব_____ ৩ লেখিকা-<(AB Tamanna)>

, রাত এখন ৯ টা ২৮,

সারাদিনের ক্লান্তি ও টিউশনের চাপ নিয়ে বাসায় চলে এলো তামান্না, সারাদিনের ক্লান্তি ও খিদার কারনে কোনো কথা না বলেই ডাইনিং টেবিলে বসে পড়লো চত-জলদি , অর্সয্য খিদার জালায় তারা-তারি বলল,-" আম্মু .........., আম্মু আমার না খুব খিদে পেয়েছে, আমাকে জলদি কিছু খেতে দাও না......"-

তামান্নার কন্ঠ সুনে উপরে পড়তে থাকা তিশা নিজের রুম থেকে ছুটে নিচে চলে এসে ঝাপটে ধরে তার প্রান-প্রিয় বোন তামান্নাকে। তিশার এই আক্রমন তামান্নার প্রতিদিনের ক্লান্তি দূর করতে যথেষ্ট।😇😇

-"আপু তুমি এসেছো,you know i miss you........।

তামান্না মুচকি হাসি দিয়ে বলল,-"জানি তো আমার তিশূ পাখি টা আমাকে অনেক miss করছে , তাই তো আমি তারাতারি এসে পরেছি।

তিশা রান্না ঘরে থাকা রোকসানা বেগম এর উদ্যের্শে বলল,-"আম্মু আমাকে ও খেতে দাও আমিও আপুর সাথে খাব।"-

তামান্না ও তিশা টেবিলে বসলো, তিশা তামান্নার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে,-"জানো আপু আজ ইনায়া বলল যে কাল নাকি ওয় আমাদের বাসায় আসবে।😀😀আমাদের সাথে সারাদিন........থাকবে, খেলবে , তুমি বার্গার 🍔🍔বানাবে আর আমরা খাবো😅😅,খেয়ে ঘুরতে যাব।😁😁।"-

-"খাবি আর ঘুরতেও যাবি😑😑।"-

-"Hmmm hmm 😋😋"-

তামান্না একটা দৃর্ঘস্বশ ফেলল। কারন হয়তো কাল তামান্নার পকেট খালি হতে চলেছে ।কারন বাসায় বার্গার বানাবে তাহলে দরকারি জিনিস-পত্র কিনতে হবে ,পরে যদি বাইরে ঘুরতে যায় তাহলে ওইখানে ও ওরা কাছু না কিছু খাবে।

তামান্না নিজেকে মনে মনে আসস্থ করলো যে, -"(💭 তামান্না তিশা তোর বোন,ওর খুসিই তোর খুসি, তোর যত টাকা লাগে তোর বোনকে দিবি, নাহলে যে তিশা কষ্ট পাবে।)

তামান্না মুচকি হাসি দিয়ে বলল,-"ok ok ইনুকে আসতে দাও তারপর আমরা অনেক মজা করবো"-

রান্না ঘর থেকে রোকসানা গম্ভীর স্বরে রোকসানা বেগম বলতে বলতে আসলেন ,-" হ্যাঁ তোদের তো আর কিছু করার নাই , খালি মজা মজা আর মজা ।

"-বিরক্তির স্বুরে বলল

রোকসানা বেগম,-"😠কিরে তামান্না, তিশাতো ছোট টাই এমন করছে কিন্তু তুই তো বড় তাই বলে তুইও তিশার হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলাবি!😾😾।"-

তামান্না মুচকি হেসে বলল,-"বাদ দাও না আম্মু ..... ইনায়া কত দিন পর আমাদের বাসায় আসবে, ইকটু মজা করবে, খেলবে আর তুমি...। আম্মু এখনিতো ওরা খেলবে।"-

রোকসানা বেগম রাগে কটমট করে বলেন,-" নে, খা আর আমার গুষ্টি সাধ্য উদ্ধার কর😠😡।"-

তামান্নার সাথে জোড় গলায় কথা বলেলও তিশার সাথে কিছুটা নমনীয় হয়ে এলো রোকসানা বেগম,-" তিশা নেও খাও।"-

~~রোকসানা বেগম তাদের দুজনকেই খাবারের প্লেট হাতে দিয়ে চলে গেলেন তামান্না ও তিশা দুজনেই খেতে লাগলো তামান্না নোটিস করলো যে তিশাকে তার পচন্দের লেগ পিস দেওয়া হলেও তামান্নাকে দুই পিস গলা ও একটি পা ছাড়া কিছুই দেওয়া হয় নি। ~

তামান্না তাচ্ছিল্লের হাসি হেসে মনে মনে ভাবলো,-"(💭তামান্না তুই আর কী আসা করছিস নিজের কাছে, সবার কাছ থেকে সুনে আসছি যে জন্মের পর যখন আম্মু আমার গায়ের রং দেখলো তখন থেকেই নাকি আম্মু আমায় পছন্দ করে না।😥😥

তামান্না খাচ্ছে ও মনে মনে ভাবছে,-"(💭বাবা তুমি ছাড়া আমায় আর কেউ ভালোবাসে না। hmm ভাইয়া যত্ন করে টাকা দিয়ে কিন্তু আমি তো টাকা পেয়ে ও টাকা পাই না। )"-

-"(💭 আমি এখানে থোকেও নেই আল্লাহ ,এখানে, এখানে থাকলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।😞😞 ভাইয়া তুমি কবে একেবারের জন্য দেশে ফিরে আসবে ? কবে সামনা-সামনি আমাকে বলবে যে 'আমার চকলেট তুই কেমন আছিস? কবে বলবে 'চকলেট আমার পিঠটা ইকটু টিপে দে ? কবে বলবে 'চকলেট আমার জামা-কাপড় গুলা কেচে দে,এক একটা জামা হবে ৫ টাকা করে ,আমি ও তুমি দাম কষাকষি করব ,আমি বলব ১০ টাকা তুমি বলবে ৫ টাকা, ২০ মিনিট দাম কষাকষি করার পড় ঠিক করব কয়েকটা জামা হবে ১০টাকার আর বাকি গুলা হবে ৫টাকার।"-

তামান্না নৃস্তবদে একটা আকুটি ভরা কন্ঠে বলল-"(💭Vaiya I miss you )"-

~~ তামান্না তার খাবার টা শেষ করে আরো কিছু ভাত নিবে তখনি রান্না ঘর থেকে রোকসানা বেগম চেচিয়ে বললেন,-"আর বেশি গিলিস না , এমনি তেই তুই কালো এর পর বেশি করে গিললে মোটা হয়ে যাবি তো নাকি😠😠"-

রোকসানা বেগম এর তেঁতো কথায় স্পষ্ট ভাবে যানান দিচ্ছিল যে এখন তামান্নার খাওয়া বারন, তামান্নার মনে হচ্ছিল এখানে না থাকলেই যেন বাচে সে।

মায়ের মুখে এমন কথা সুনে তিশা অভাগ না হয়ে পারলো না , কেন তার মা নিজের বড় মেয়ের সাথে এমন করে , কেউ কি নিজের র্গভের সন্তান এর সাথে এমন করতে পারে সর্তমায়ে রাও তো এমন করে না , আর এখানে তামান্না আপু তার নিজের মেয়ে। তিশা তার বড় বোনের দিকে আসহায় নয়ন এ তাকালো।

~~মায়ের কথা সুনে কোনো সন্তান কি পারে নিজেকে সান্ত রাখতে ? না পরে না তাই শেমবর্ণী সেই রমনী টি ও পারে নি নিজেকে সামলাতে।

তামান্নার ডাগর টানা চোখ় দিয়ে গড়িয়ে পড়লো কিছু নোনা জল, আর নিল না ভাত যা নিতে যাচ্ছিলো তাও রেখে দিল , আর যা প্লেটে ছিল তা দিয়ে দিলো এ বাড়ির পালিত বিড়াল মিনুর খাবারের বাটিতে । দুঃখ ভরাক্রান্ত মুখ নিয়ে তার প্রান প্রিয় মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,-"ঠিকাছে আম্মু আমি আর...... খাব না।"-

টেবিল থেকে উঠে পরলো তামান্না তিশার মাথায় আদোর করে বলল,-"থেয়ে নিস, আমি রুমে গেলাম ,সকাল ১২ টার আগে ডাকতে আসিস না ok "-

তিশা মলিন কন্ঠে বলল,-" ok আপু ডাকবো না।"-

তামান্না আর কথা বাড়ায় না। চলে যায় তার রুমে। রোকসানা বেগম যেন এটার ওই আসায় বসে ছিলেন। তার মুখে ফুটেছে হাসি ,তিনি তিশার কাছে এসে নরম কন্ঠে বলেন,-" মা তিশা তুমি আর কিছু নিবে 😊😊? "-

তিশা কিছুই বলল না সে কোনো রকম খেয়ে উঠে চলেই যাচ্ছিল , তখনি রোকসানা বেগম বলে উঠলেন,-"কি হলো মা....আর খাবে না ?"-

তিশা নিজের রাগ আর কন্টল করতে পারলো না, সে রেগে চেচিয়ে উঠলো,-" just stop it আম্মু😡😡। আম্মু আমি বাচ্চা না class 8 এ পরুয়া মেয়ে মেধাবী জিনিয়াস মেয়ে। 😡😡তুমি আমাকে কি ভাবছো? আপুর সাথে এক রকম, আমার সাথে আরেক রকম।"-

তিশা কিছুটা বিরক্তিকর কন্ঠে বলল,-" আপুকে তুমি কি দিয়েছো আর আমাকে তুমি কি দিয়েছো আমি কি বুঝি না।😡😠 দেখ আম্মু কাল আমার Friend আসবে আমি চাই তার সামনে অন্তত আমাদের দুজনকে same treat কইরো আনুরধ রইলো তোমার কাছে 🙏🙏

"-

তিশা হন্ত-দন্ত হয়ে ছুট লাগায় উপরে, উদ্যেস আপুর রুম, দরজার সামনে এসে ধাক্কা দিবে , কি যেন মনে করে আর ধাক্কা দিলো না। চলে গেলো তিশা তার রুমে, তিশার রুম ও তামান্নার রুম পাসাপাসি থাকায় তিশা সুনতে পায় তামান্নার রুম থেকে ভেসে আসছে আদ্ভুত, ভয়ঙ্কর, গা সিওরে উঠার মত কিছু অস্বরীরির শব্দ,কারো চিৎকার-আত্তনাত ,কারো গোংগানোর আওয়াজ।

তিশা মনখুন্ন হয়ে বিরবিরায়,-"তুমি আবার কোনো horror movie নিয়ে বসেছো, 😦😧 তোমার এই কষ্ট যে আমি নিতে পারছি না।"-

~~ এদিকে ~~

তামান্না ভুতের মুভি দেখছে, তার দুই হাত তার মুখে কান্নার আওয়াজ আটকানোর আপরান চেষ্টা , চোখ দিয়ে অর্নগল নোনা জল গড়িয়ে পরছে থুতনিতে 😭😭।............................................................... .......।

তিশা তামান্না ও তার রুমের সাথে এটাচ করা দেয়ালে হাত ও মাথা থেকিয়ে মনে মনে বলল,-"(💭 আপু horror movie তখনি দেখে যখন আপুর প্রচুর পরিমানে কান্না করতে ইচ্ছে হয়, কান্নার আওয়াজ যাতে কারো কানে না যায় তাই তুমি ভলিউম ও বারিয়ে দাও , কি ভবেছো আমাকে আমি কিছু জানি না ,😤 আমি সব জানি , তুমি আমাকে কিছু না জানালে ও আমি সব জানি....।)"-

<(TBC)\>

Download NovelToon APP on App Store and Google Play

novel PDF download
NovelToon
Step Into A Different WORLD!
Download NovelToon APP on App Store and Google Play